ভুলে যান লক্ষ্মীর ভান্ডার এর কথা! এবার থেকে আসতে চলেছে সম্পূর্ণ নতুন এক প্রকল্প। এই প্রকল্পের নাম Narayan Bhandar Scheme. যার সুবিধা লক্ষ্মীর ভান্ডারের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। বর্তমানে এরাজ্যের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে যথাক্রমে সাধারণ মহিলারা ৫০০ এবং তফসিল মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন প্রতিমাসে। কিন্তু নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলারাই পেতে চলেছেন মাসে ২০০০ করে টাকা।
Narayan Bhandar Scheme Status Update.
তাই এত ভালো সুযোগ হাতছাড়া না করতে চাইলে আগে প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন এবং তারপর ঝটপট আবেদন সেরে ফেলুন। না, নতুন এই প্রকল্প মোটেই আমাদের রাজ্য সরকারের নয়, এটি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা তৈরি। এর নাম নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্প (Narayan Bhandar Scheme)। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুকরণেই এই প্রকল্পের সৃষ্টি। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে এরকমভাবে।
এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের তথা সারা দেশের প্রতি মহিলা পুরুষ সকলকেই প্রত্যেক মাসে নগদ ২০০০ করে টাকা ভাতা দেওয়া হবে। হ্যাঁ, সূত্র মারফত ঠিক এমনটাই খবর পাওয়া গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। সেই সঙ্গে আরও জানা যাচ্ছে, যারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা ভোগ করছেন তাদের সেই সুবিধা থেকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা হবে না।
উপরন্তু তারা এই নতুন চালু করা নারায়ণ ভান্ডারের সুবিধাও পাশাপাশি পাবেন। যার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের তথা সমগ্র দেশের প্রতিটি মানুষের মনে আনন্দ আর বাঁধ মানছে না।
সামনেই ২০২৪ এর লোকসভা ভোট। এমতাবস্থায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই দরকার দেশের মানুষকে। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেই অনেক রকম জনমুখী কর্মসূচি নিয়েছে।
যেমন সম্প্রতি রোজগার মেলার মাধ্যমে ৫১ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা ২.০ চালু করারও ঘোষণা করা হয়েছে শীঘ্রই। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ৪৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা তো আগেই বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার সরাসরি ব্রহ্মাস্ত্র ছাড়লো কেন্দ্রীয় সরকার, যার মাধ্যমে ঘায়েল হলো দেশের প্রতিটি মানুষ।
গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের আগে হুগলির পান্ডুয়ায় গেঁরুয়া শিবিরের এক সভাস্থল থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রথম এই ঘোষণা করেন। তিনি রাজ্যের সকল জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে যদি একবার তারা রাজ্যে ক্ষমতা লাভ করতে পারেন তবে তারা দেখিয়ে দেবেন জনকল্যাণ কাকে বলে।
এইরূপ প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি এই নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্পের (Narayan Bhandar Scheme) কথা ঘোষণা করেন সভায় উপস্থিত সকল জনগণের সামনে। যাই হোক, পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্য পূরণ হয়নি, তাই এখন আবার লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন তারা। তাই এবারের লোকসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারই চালে মাত দেবার জন্য বিজেপি সরকার এই বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েছে।
যে পাল্টা চাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছেড়েছেন তা তাদের বিজয়ের সম্ভাবনাকে অনেকটাই সুনিশ্চিত করবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। যাই হোক এখন দেখা যাক আবার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কি অপেক্ষা করছে। Narayan Bhandar Scheme টি আপনাদের কেমন লাগলো তা আমাদের জানান।