ডিসেম্বরের শুরুতে মিগজাউ-এর প্রভাবে টানা ২ থেকে ৩ দিন বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় (Bangla Shasya Bima). এর ফলে রাজ্যের কৃষকদের ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। মাঠে কাটা ধান জলে ডুবেছে। শীতের ফলস অসময়ে বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। এহেন ক্ষতির কারণে মাথায় হাত পড়েছিল রাজ্যের কৃষকদের। তবে দেবীর মতো কৃষকদের মাথায় হাত রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অর্থ দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
Bangla Shasya Bima
শীতের শুরুতে বৃষ্টিপাত আগেও হয়েছে। তবে এবারের বৃষ্টিপাত কিছুটা অন্যরকম। কারণ প্রতি বছর শীতের মুখে উত্তর বঙ্গে বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণ বঙ্গে সেভাবে বৃষ্টিপাত হয় না। তবে এ বছর একদম উল্টো জিনিসটা ঘটলো। শীতের মুখে নিম্নচাপের জেরে টানা ৩ দিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত ঘটেছে দক্ষিণ বঙ্গে। আর এর ফলে ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কারণ এ সময়টা ধান কেটে ঘরে তোলার পালা। বৃষ্টির কারণে মাঠের ধানে পচন ধরেছে। এদিকে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই আলুর বীজ লাগাতে শুরু করেন কৃষকরা। বৃষ্টির প্রভাবে আলু রোপনেও বেশ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মাঠে যে সমস্ত শীতকালীন সব্জি রয়েছে সেগুলিও বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। (Bangla Shasya Bima)
রাজ্যের এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজ্যের কৃষকদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই তিনি আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন। এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের আশ্বাস্ত করে বলেন, রাজ্যের সমস্ত কৃষদের শস্য বীমার (Bangla Shasya Bima) অধীনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের নির্দেশে এইবার করাতে হবে আধার-ভোটার কার্ড লিংক, দেখে নিন শেষ তারিখ।
তিনি আরো বলেন যে, যাদের শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) রয়েছে তারা সকলেই টাকা পাবেন। এছাড়া গত ৯ই ডিসেম্বর কার্শিয়াং-এ গিয়েও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যের গরিব কৃষকদের সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছেন তার মধ্যে বাংলা শস্য বীমা চালু করেছে।
এই বীমা করা থাকলে রোপনের সময় কিংবা চাষের সময় কৃষকরা কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয়। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাষের কাজে বা ফসলে ক্ষতি হলে এই বীমার মাধমে আর্থিক সাহায্য পায় রাজ্যের কৃষকরা। ইতিমধ্যে বাংলার বহু কৃষক বাংলা শস্য বীমার (Bangla Shasya Bima) অধীনে নাম নথিভুক্ত করেছেন।
খুব শীঘ্রই তারা অসময়ে বৃষ্টির কারণে চাষের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা পেয়ে যাবেন। তবে এখনো রাজ্যের বহু কৃষক এই শস্য বীমায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেননি, তারাও এই টাকা পাবেন। তবে তার আগে ওই কৃষককে শস্য বীমায় নিজেই নাম তুলতে হবে। https://banglashasyabima.net/ এই লিংকে ক্লিক করে আপনারা রাজ্য সরকারের এই ওয়েবসাইটটি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
এই মুহুর্তে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয়, সাফ জানিয়ে দিলো রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, আগামী ১৬ই ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হবে। যারা এখনো এই Bangla Shasya Bima করেননি তারা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে বীমা করিয়ে নিন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। আপনাদের এই বিষয়ে কি মত তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাদের জানান।