আবেদন করুন লেটার বক্স স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান ১৫,০০০ টাকার অনুদান।

বেশ কিছুদিন পূর্বে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা একাদশ শ্রেণীতে এবং উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী এমন বহু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার অথবা নানাবিধ সরকারি সংস্থার তরফে কার্যকরী স্কলারশিপের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। আর তাতেই সমগ্র রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও এক নতুন স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কার্যকরী এই নতুন স্কলারশিপটি সমগ্র রাজ্যজুড়ে লেটার বক্স স্কলারশিপ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

লেটার বক্স স্কলারশিপ কি?

মূলত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং নানাবিধ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে যে সমস্ত স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়ে থাকে সেই সমস্ত স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের বিগত পরীক্ষায় একটি ন্যূনতম নম্বর শতাংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এমন প্রচুর মধ্যমানের ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এই সমস্ত স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারেন না, আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তরফে সমগ্র রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের জন্য লেটার বক্স স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে।

লেটার বক্স স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যক যোগ্যতা কি কি?

১. রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীরাই লেটার বক্স স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন। রাজ্যের স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জেনারেল ক্যাটাগরিভুক্ত নাগরিক থেকে শুরু করে তপশিলী জাতি, তপশিলী উপজাতি সহ ওবিসি ক্যাটাগরিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন জানাতে পারবেন।
২. মূলত যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা চলতি বছরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন। আর লেটার বক্স স্কলারশিপের সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয়টি হল কেবলমাত্র পাশ নম্বর হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন জানানোর সুযোগ পেয়ে যাবেন।
৩. মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর যেকোনো বিভাগে অথবা যেকোনো কোর্সের অধীনে পড়াশোনা করলেই এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানানো যাবে।
৪. যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী কোনো স্কলারশিপ অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী কোন স্কলারশিপের সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের সুযোগ পাবেন না।

আরও পড়ুন:- আগস্ট মাসে কত দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, জেনে নিন তালিকা।

লেটার বক্স স্কলারশিপের আওতায় কত টাকার অনুদান পাওয়া যাবে?

বিগত দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, লেটার বক্স স্কলারশিপের আওতায় প্রত্যেক ছাত্র অথবা ছাত্রী ১৫ হাজার টাকার অনুদান পেয়ে যাবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া:-

রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের জন্য আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীকে একটি সাদা কাগজে আবেদনপত্র লিখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রকার নথিগুলি অ্যাটাচ করে শিক্ষা দপ্তরের বাইরে রাখা লেটার বক্সে নিজের আবেদনপত্র সহ নথিগুলিকে ড্রপ করে আসতে হবে। যেহেতু লেটার বক্সের মাধ্যমে এই স্কলারশিপের আওতায় আবেদন করা হয়ে থাকে তাই এই স্কলারশিপের নামকরণ করা হয়েছে লেটার বক্স স্কলারশিপ। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি যে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লেটার বক্স স্কলারশিপের আওতায় আবেদনের ক্ষেত্রে কোনরূপ ফর্ম কিংবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কার্যকর করা হয়নি। সুতরাং আপনিও যদি লেটার বক্স কলারশিপের আওতায় আবেদন জানাতে চান, তবে নিজের হাতে আবেদন পত্র লিখে প্রয়োজনীয় নথি সহকারে শিক্ষা দপ্তরের সামনে রাখা লেটার বক্সে ড্রপ করুন।

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি:-

১. আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র।
২. আবেদনকারী শিক্ষার্থীর বিগত পরীক্ষার মার্কশীটের কপি।
৩. শিক্ষার্থীর আধার কার্ড।
৪. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রী ব্যাংকের পাশ বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স কপি।
৫. শিক্ষার্থীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ফটো।
৬. জাতিগত শংসাপত্র।