ভারতবর্ষের কাছে আধার কার্ড (Adhaar Card) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। এই নথি না থাকলে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন সাধরণ মানুষ। তাই ভারতবর্ষের প্রত্যেক নাগরিক-এর আধার কার্ড (Adhaar Card) থাকা বাধ্যতা মূলক। কিন্তু জানেন কি, এবার শুধুমাত্র দেশের জনসাধারণের জন্য নয়, ভূমির জন্য তৈরি হচ্ছে আধার কার্ড (Adhaar Card)।
চলতি বছরের ২৩ জুলাই ২০২৪ ছিল কেন্দ্রীয় বাজেট। বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর এই বাজেটে তিনি বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। ঘোষণা হল কৃষকদের জন্যও। এছাড়া জমি জায়গার জন্যও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এবার থেকে ভারতবর্ষের জমির জন্য তৈরি করা হবে আধার কার্ড (Bhu-Aadhaar) যাকে বলা হচ্ছে ভূ-আধার (Bhu-Aadhaar)।
আধার কার্ডে যেমন বিভিন্ন নম্বর থাকে, ঠিক তেমনভাবেই নম্বর দিয়ে রাখা হবে ভারতের প্রতিটি জমির। এখন প্রশ্ন হল, কিভাবে এই ভু-আধার (Bhu-Aadhaar) তৈরি করা হবে? ভু-আধার (Bhu-Aadhaar) তৈরি করার জন্য কি কি করনীয়? আপনারা যদি জমির জন্য আধার কার্ড বানান, তাহলে কি কি সুবিধা পাবেন আজকের প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন।
কৃষকবন্ধুরা পাবেন মাসে মাসে 1000 টাকা! কিষানদের জন্য নতুন প্রকল্প! সুবিধা পেতে এই ফর্ম ফিল আপ করুন
Bhu-Aadhaar In India 2024
দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জমির ক্ষেত্রেও ঠিক একই ব্যাপার। জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে ডিজিটাল মাধ্যমে রূপান্তরিত করার জন্যই চালু করা হচ্ছে ভু-আধার (Bhu-Aadhaar)। এতদিন যেখানে ভারতের গ্রামীন জমিগুলির জন্য আলাদা করে কোন নম্বর নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, কিন্তু এখন সেই পদ্ধতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকায় নয়, শহরাঞ্চলেও জারি থাকবে পদ্ধতি।
গ্রামাঞ্চলের জমিগুলিতে নতুন পদ্ধতি অনুসারে জমির সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ULPIN)। সাধারণত এবার থেকে জমি সংক্রান্ত ম্যাপগুলি আর নথিতে নয় বরং সেই সকল নথিকে রূপান্তরিত করা হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। খুব সহজভাবে বলতে গেলে বিষয়টি এরকম, সব জমির জন্য সরকারি তথ্য সংরক্ষিত হবে ডিজিটাল ভাবে। আধার কার্ডের মতো প্রত্যেকটি জমির জন্য ধার্য করা হবে ভিন্ন ভিন্ন নম্বর।
সবাইকে মাসে মাসে 3000 টাকা দিচ্ছে সরকার! করিয়ে নিন এই কার্ড। কিভাবে করবেন জেনে নিন
যে জমির ভু-আধার করা হবে সংশ্লিষ্ট জমিটির মালিকানা কার সেটি নির্ধারণ করে এই জমির মহকুমা ভিত্তিক সমীক্ষার একটি মানচিত্র তৈরি করা হবে। আর সেই মানচিত্র থাকবে প্রতিটি রাজ্যের সরকারের হাতে। প্রতিটি জমির সঙ্গে সেই জমির মালিক বা কৃষকের রেজিস্ট্রেশন সংযুক্ত করা হবে। শহরের ক্ষেত্রে ভৌগোলিকভাবে প্রস্তুত করা হবে ডিজিটাল মানচিত্র। আর মানচিত্র তৈরী সংক্রান্ত পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
Bhu-Aadhaar Benifits | ভূ-আধারের সুবিধা
ভারতবর্ষের জমিগুলিতে ভূ-আধার করা হলে, বিশেষ সুবিধা পাবেন জনসাধারণ। কি কি সুবিধা পাবেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
- ভারতের প্রত্যেকটি জমির জন্য যদি আলাদা আলাদা নম্বর হয়, এবং কৃষকদের সঙ্গে সেই জমির রেজিস্ট্রেশন করা হয় তাহলে জমি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি মিটে যাবে। কৃষকদের জমি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুক্তভোগী হতে হবে না।
- জমির মালিকের সেই জমির মিউটেশন করার ক্ষেত্রে, রেজিস্ট্রেশন বা রেকর্ড করার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হবে না।
- জমির কেনাবেচা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দূরীভূত হবে।
- সরকারি প্রকল্পের টাকা পেতে কৃষকদের কোন সমস্যা হবে না।
- কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সাধারণ মানুষ যে অনেকটাই সুবিধা পাবেন সে বিষয়ে অনায়াসেই ধারণা করা যায়। এই পদক্ষেপের ফলে সুবিধা হবে কৃষকদেরও। কৃষকদের ঋণ পাওয়া আরো সহজ হবে।
- এছাড়া বলা যায়,জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি যখন ডিজিটালে রূপান্তরিত হবে, তখন কারচুপি আটকানো যাবে।
Bhu-Aadhaar Application | ভূ-আধার আবেদন
গত ২৩ শে জুলাই ২০২৪ তারিখে কেন্দ্রীয় বাজেটে ভূ-আধার সম্পর্কিত ঘোষণাটি হয়েছে। আর তাই এখনই এর আবেদন শুরু হয়নি। সেক্ষেত্রে যখন আবেদন শুরু হবে, তখন কৃষকদের কিংবা জমির মালিকদের কি করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।