সাধারণ মানুষের কাছে রেশন কার্ডের (Ration Card) গুরুত্ব অপারিসীম। রেশন কার্ড যেমন বিনামূল্যে আমজনতাকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে, ঠিক তেমনভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হিসেবে কাজ করে। রেশন কার্ড (Ration Card) এখন সব জায়গায় দরকার হয়। সাধারণ মানুষ সমাজে যারা দরিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছেন, তাঁদের সবার জন্য সরকার রেশন ব্যবস্থা (Ration Card) চালু করেছে বহু বছর হলো।
সেই সময় থেকেই রেশন কার্ড (Ration Card) সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। কম দামে খাদ্যশস্য এবং দৈনন্দিন জিনিস পাওয়ার শুধু নয়, দেশে কোন বিপর্যয় দেখা দিলে, কিংবা কোভিডের মতো অতিমারির সময় থেকে বিনামূল্যে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস পাচ্ছেন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ।
সব মিলিয়ে বলা যায়, রেশন কার্ড (Ration Card) আমজনতার কাছে আশীর্বাদের সমান। কিন্তু এবার রেশন কার্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রেশন সামগ্রী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই কড়া অ্যাকশন চিন্তায় ফেলল সাধারণ মানুষকে। কিন্তু কী সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? আজকের প্রতিবেদনে আমরা সে বিষয়ে জানব।
মাঝেমধ্যেই রাজ্য সরকার রেশন কার্ড (Ration Card) নিয়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। সেই পদক্ষেপ গুলির অবশ্যই জনসাধারণের স্বার্থে হয়ে থাকে। রাজ্যে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের রেশন কার্ড প্রচলিত আছে। প্রতিটি রেশন কার্ড থেকে প্রাপ্ত রেশন সামগ্রীর পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন।
রেশন কার্ড সাধারণ মানুষকে সাহায্য করছে যেভাবে, বহু মানুষ রেশন কার্ডের সুবিধার অপব্যবহার করছেন।অনেকদিন ধরেই রাজ্য সরকার বিষয়টির দিকে নজর দিয়েছে। এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রেশন কার্ড সম্পর্কে কি সিদ্ধান্ত নিল, বিশেষ করে ভোটের পরে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এখন জেনে নেওয়া যাক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের কত টা সুবিধা হবে, আর কতটা অসুবিধা হতে পারে।
Ration Card: চাল, ডাল অনেক হল! এবার রেশনে সরষের তেল দিচ্ছে সরকার। কবে থেকে মিলবে? কারা পাবেন? জানুন
Ration Card Facilities in West Bengal
পশ্চিমবঙ্গে রেশন কার্ডের গুরুত্ব রয়েছে প্রচুর। রেশন কার্ড বর্তমানে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। অর্থাৎ রেশন কার্ড নাগরিকদের অতি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে পরিণত হয়েছে। এই রেশন কার্ড সরকারের কাছে একজন নাগরিকের পরিচয় পত্র হিসেবে গৃহীত হয়। সমাজের মানুষ নিজের আর্থিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য চান, তাহলে রেশন কার্ড তাঁদের সাহায্য করবে।
সাধারণ মানুষ জানেন এই রেশন কার্ডের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সমাজের শ্রেণীবিশেষে ভিন্ন ভিন্ন রেশন কার্ড সরবরাহ করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তির রেশন কার্ড না থাকে, তাহলে তিনি ফ্রিতে কিংবা বাজার দামের চাইতে কম দামে খাদ্যশস্য ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাবেন না। তাই রেশন কার্ড সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, রেশন কার্ড সংক্রান্ত সরকারের নির্দেশ মানতে হবে সবাইকেই। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর।
Different Ration Card in West Bengal
পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ ধরনের রেশন কার্ড (Ration Card) চালু আছে। মূলত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এই রেশন কার্ডগুলিকে (Ration Card) ভাগ করা হয়। যে নাগরিকের কাছে যে রেশন কার্ড আছে, সেই রেশন কার্ড নির্দিষ্ট করে দেয় নাগরিক ঠিক কতটা পরিমাণ খাদ্যশস্য পাবেন, কতটা ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য শস্য তাঁদের দেওয়া হবে। আমাদের রাজ্যে প্রচলিত আছে যে পাঁচ ধরনের রেশন কার্ড সেগুলি হল- PHH, AAY, SPHH, RKSY1, RKSY2। এই পাঁচ শ্রেণীর রেশন কার্ড থেকে সুবিধা ভোগ করেন এই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর জনসাধারণ। সরকার প্রতিটি ক্যাটাগরির রেশন গ্রাহকদের জন্য আলাদা আলাদা পরিমাণ রেশনের ব্যবস্থা করেছে। যদিও এতদিন ধরে সংশয় ছিল, বাংলায় কোন গ্রাহক কত পরিমাণ রেশন পাবে সে বিষয়ে।
Ration Card Action Taken By WB Govt
তবে পশ্চিমবঙ্গের রেশন দুর্নীতির খবর নতুন নয়। রেশম দ্রব্য নিয়ে জালিয়াতির খবর অনেকদিন আগে থেকেই কানে এসেছিল। রেশন ডিলাররা যে সাধারণ দিন দরিদ্র মানুষকে ঠকাচ্ছেন, তাদের প্রয়োজনে চাইতে কম পরিমাণ রেশন দ্রব্য দিচ্ছেন সেই অভিযোগ অনেক আগেই সরকারের কানে এসে গিয়েছিল।
অনেকদিন ধরেই সরকার ভাবছে এই দুর্নীতি কিভাবে ঠেকানো যায়। আর সেই কারণেই ভোট মিটতে আরও বেশি তৎপর হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারের তরফে নেওয়া হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। আশা করা যাচ্ছে এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে। রেশন ডিলারদের জালিয়াতি ঠেকিয়ে এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ বাড়িতে বসেই জেনে যাবেন, তাঁরা কত পরিমাণ রেশন সামগ্রী পাবেন।
সরকারের তরফে মোবাইল মেসেজে চলে আসবে রেশন সামগ্রী সংক্রান্ত তথ্য। বাড়িতে বসেই জেনে নিতে পারবেন আপনি। বেশি দেরি না করে চলতি মাস থেকেই সরকার এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ২০২৪ সালের জুন মাস থেকেই সরকারের রেশন সংক্রান্ত নতুন সুবিধা পাবেন বঙ্গবাসী। বাংলার রেশন উপভোক্তার যে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর আছে, সেই নম্বরে চলে যাবে মেসেজ। আর সেই মেসেজ দেখে ব্যক্তি নিজেই বুঝে নিতে পারবেন মাসে রেশন থেকে ঠিক কতটা পরিমাণ খাদ্যশস্য পেলেন তিনি।