পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা প্রাইমারি টেট(Primary TET). প্রায় প্রতি বছর প্রাইমারি টেট(Primary TET) পরীক্ষার আয়োজন হয় এই রাজ্যে। আবার এই টেট(TET) পরীক্ষা নিয়ে মাঝেমধ্যেই উঠেছে নানান ধরনের অভিযোগ। বিশেষ করে এই প্রাইমারি টেট পরীক্ষা দুর্নীতিগ্রস্ত। তার সাপেক্ষে বারংবার প্রমাণ এসেছে সাধারণ মানুষের হাতে। আদালতে চলছে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলা। চলছে প্রাইমারি টেট ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলা। আর এবার আদালতের তরফে বড়সড় এক সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
পশ্চিমবঙ্গ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য! শুধুমাত্র প্রাইমারি নয়, উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম শ্রেণী ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগেও ধরা পড়েছে দুর্নীতি। আটকে রয়েছে নিয়োগ। চলতি বছর মোট ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ আসে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। আর এবার প্রাথমিক টেটের(Primary TET) প্রশ্ন ভুল মামলায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল আদালত।
Primary TET মামলায় আদালতের নির্দেশ!
২০১৭ সালের টেট ও ২০২২ সালের টেট এই দুই বছরেই প্রাইমারি টেট (TET) পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ ওঠে। আর সেই মামলার জল গড়িয়েছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ২০১৭ সালের টেট প্রশ্ন ভুল মামলায় বিশ্বভারতী এবং ২০২২ সালের প্রশ্ন ভুল মামলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে প্রশ্ন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। কিন্তু এরপর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। এবার তাতেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির নির্দেশ দিল।
আধার কার্ড নিয়ে জরুরি ঘোষণা! 14 সেপ্টেম্বরের মধ্যে করুন এই কাজ! নইলে বিপদে পড়বেন
Primary TET মামলায় কমিটি গঠনের নির্দেশ!
২০১৭ সালের প্রাইমারি টেট প্রশ্ন ভুল মামলায় মোট তিনটি বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় মামলাকারীদের দাবি ছিল, প্রশ্ন যদি ভুলই থাকে, তাহলে যে সকল পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন সেই সকল পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হোক। ফলে মেধাতালিকায় বড়সড় রদবদল হতে পারে বলে তখন থেকেই আশঙ্কা করা যাচ্ছিল।
সামনে এলো বড় আপডেট! পুজোর আগেই বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের। বিস্তারিত জেনে নিন
সেক্ষেত্রে গোটা প্যানেলের নম্বর এদিক ওদিক হয়ে যেতে পারে। মামলাকারী পরীক্ষার্থীরা দাবি তুলেছেন, ২০১৭ সালের পরীক্ষায় মোট ১২ টি প্রশ্ন ভুল ছিল আর ২০২২ সালের পরীক্ষায় পরীক্ষায় ২৪ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি তুলেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে নির্দেশ দেন, ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞের কমিটি প্রশ্ন গুলি খতিয়ে দেখবেন। তারপর এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে চাপ বাড়তে পারে পর্ষদের।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড সামনে আসার পর থেকে ফুঁসে উঠেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বারংবার তাঁদের অভিযোগ, স্বচ্ছ পথে নিয়োগ হবে কবে? চাকরির দাবিতে পথেও বসেছিলেন তাঁরা। তবুও এখনো পর্যন্ত নিয়োগে গতি আসেনি। চাকরি পাননি বহু প্রার্থী। অযোগ্যদের দ্বারা ভরে রয়েছে অসংখ্য শূন্যপদ। তাদের সরিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের কবে নিয়োগ দেওয়া হবে, প্রাইমারি টেট পরীক্ষার পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করে প্রার্থীদের কবে চাকরি দেওয়া হবে, সে সমস্ত প্রশ্ন কেবলি অপেক্ষায়।