E-Shram Card: ভারতের বেশিরভাগ মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে। যাদেরকে সাধারণ ভাবে শ্রমিক বলা হয়। এ দেশে প্রায় ৪০ কোটির বেশি মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। এই সমস্ত মানুষদের ভবিষ্যৎ সঞ্চয় থাকে না বললেই চলে। ফলে বয়সকালে আর্থিক নিরাপত্তায় ভোগেন। এবার সেই সমস্ত শ্রমিকদের কথা ভেবে, দারুণ প্রকল্প এনেছে মোদী সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের ৩০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কীভাবে পাওয়া যাবে এই টাকা? জেনে নিন।
Check E-Shram Card benefits.
ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card) কী?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য এক বিশেষ প্রকল্প এনেছে। এই প্রকল্পের নাম ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card). ২০২১ সালে ভারত সরকারের কর্মসংস্থান মন্ত্রক এই বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এখনো পর্যন্ত ২০ কোটির বেশি মানুষ ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করেছে। খুব শীঘ্রই আরো মানুষকে এই কার্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই কার্ড থাকলে ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পাওয়ার সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
ই-শ্রম কার্ড কারা করতে পারবেন?
ই-শ্রম কার্ডে আবেদন করার জন্য বা নাম নথিভুক্ত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী হতে হবে। এছাড়া আপনার বয়স হতে হবে ১৬ থেকে ৫৯ বছর। যদি আপনার ESI কিংবা EPF থাকে তাহলেও আপনি ই-শ্রম কার্ডে নাম লেখাতে পারবেন।
ই-শ্রম কার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ই-শ্রম কার্ড অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষদের পরিচয় পত্র। এই ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card) থাকলে সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। যদি আপনারও এই কার্ডে নাম নথিভুক্ত থাকে, তবে PMAY, PMJAY, PM Kosan সহ কেন্দ্র সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া সরকারি বীমা, আয়ুষ্মান ভারত ইত্যাদি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্যও ই-শ্রম কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
ই-শ্রম কার্ডে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে?
প্রথমত আপনি যদি একজন শ্রমিক হন এবং আপনার কাছে যদি ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card) থাকে তাহলে আপনি ৬০ বছরের পর থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন পেতে শুরু করবেন। এছাড়া E-Shram Card থাকলে পাওয়া যাবে আরো অনেক সুবিধা। যেমন, কাজ করতে করতে কোনো শ্রমিকের যদি অঙ্গহানি হয় কিংবা শ্রমিকটি পঙ্গু হয়ে যায় তাহলে ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়া শ্রমিকটি মারা গেলে পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
ই-শ্রম কার্ডে কীভাবে আবেদন করবেন?
আপনি যদি একজন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মী হন তাহলে বাড়িতে বসে eshram.gov.in পোর্টালে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই পোর্টালে গিয়ে প্রথমে আপনাকে রেজিস্টার করে নিতে হবে।
এরপর রেজিস্ট্রেশনের পর নাম, ঠিকানা, কাজের বিবরণ ইত্যাদি তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। তারপর ব্যাংকের ডিটেলস দিয়ে সাবমিট করতে হবে। এভাবেই করা যাবে আবেদন। এবার সঙ্গে সঙ্গেই আপনি ই-শ্রম কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন এখান থেকেই।
ভোটের কথা মাথায় রেখে চালের দাম কমালো মোদী সরকার। কত টাকা কমবে?
ই-শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য কী কী নথি লাগবে?
ই-শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য আধার কার্ড, আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর, ব্যাংকের পাসবুক ইত্যাদি ডকুমেন্ট লাগবে। তাই আপনি যদি একজন অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক হন এবং এখনো ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card) না করিয়ে থাকেন, তাহলে শীঘ্রই এই কার্ড করিয়ে নিন। এভাবে আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন এবং ৬০ বছর বয়সের পর ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাওয়ার পথ প্রস্তুত করুন।