সরকার এবার উৎসব মিটতেই ঘোষণা করল বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার। রাজ্য সরকারের বহু কর্মচারীর অবশেষে মুখে হাসি ফুটতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর। আগামী দিনে মূলত পুরসভার আধিকারিকদের একপ্রকার পোয়া বারো হতে চলেছে। কারণ বাড়তে চলেছে DA. সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই আটকে থাকা ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এই ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
Dearness Allowance
পুরনিগমের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”পুরনিগমের অনুমোদনের পরে কর্মচারীদের প্রাপ্ত মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হবে।” দিল্লি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকল কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এই তথ্য দিয়েছেন দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের খোদ এক কর্মকর্তা। ১ এপ্রিল থেকে সমস্ত এমসিডি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে, এমনটাই জানিযেছেন পৌর আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল থেকে সমস্ত এমসিডি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছিল দিল্লি সরকার। ১৬,৭৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭,২৩৪ টাকা করা হবে এমসিডির অদক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম মাসিক বেতন। দক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০,৩৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০,৯০৩ টাকা করা হবে এবং আধা-দক্ষ শ্রমিকদের মজুরি ১৮,৪৯৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮,৯৯৩ টাকা করা হবে।
এমসিডি হাউসের বৈঠকের আলোচ্য সূচি অনুসারে, ক্লার্ক এবং সুপারভাইজার কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরিও বাড়ানো হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী, নন-ম্যাট্রিকুলেশন পাস কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ১৮,৯৯৩ টাকা, ম্যাট্রিকুলেশন পাস কিন্তু স্নাতক নয় এমন কর্মচারীদের জন্য ২০,৯০২ টাকা এবং স্নাতক বা তার বেশি বয়সের কর্মচারীদের জন্য ২২,৭৪৪ টাকা করা হবে।
যথাক্রমে ৪৯৪ টাকা, ৫৪৬ টাকা এবং ৫৯৮ টাকা হবে এই কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance). এমসিডির হাউসের পরবর্তী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য রাখা হবে ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর সরকারের প্রস্তাবটি। পৌর কর্মীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) হাউসের অনুমোদন পাওয়ার পরেই দেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছেন এমসিডি আধিকারিক।
প্রসঙ্গত,সিপিএমের সংগঠন রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘এটা একটা প্রতারণামূলক ঘোষণা। ছ-সাত মাস আগেই এই ঘোষণাটা হয়েছিল। সেটাই আবার নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বললেন। সব রাজ্য ডিএ-র হার সংশোধন করে দিয়েছে, পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন বেতনক্রমও চালু করে দিয়েছে।
শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের সরকার চরম বঞ্চনা চালিয়ে যাচ্ছে। ভূভারতে কোথাও এ সব হয় না।’’ বিজয়শঙ্করের হুঁশিয়ারি, ‘‘সামনে ৮-৯ জানুয়ারি তো সারা ভারতে শ্রমিক-কর্মচারীরা ধর্মঘটে যাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মঘট হবে। রাজ্যের প্রশাসনকে কর্মীরা কী ভাবে স্তব্ধ করে দেবেন, সেটা মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পাবেন।’’
কংগ্রেসের সংগঠন কনফেডারেশনের নেতা সুবীর সাহার গলায়ও একই সুর। তিনি বললেন, ‘‘পে কমিশনের সুপারিশ জমা পড়বে, সেই অনুযায়ী নতুন বেতনক্রম কার্যকর হবে, তার পরে আইআর দেওয়া বন্ধ হবে। নিয়ম এটাই। কিন্তু এখানে পে কমিশনের রিপোর্ট কবে জমা পড়বে, কেউ জানেন না। তার আগেই আইআর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমনটা আর কোথাও হয় না।’’