পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক চালু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার(Lakshmir Bhandar). এই প্রকল্প আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই চারিদিকে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যবাসী প্রত্যেক মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সরকারি অনুদান। লক্ষ্মীর ভান্ডার(Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের অনুদান পেয়ে বহু মহিলা তাদের জীবন ধারণাকে স্বচ্ছল করেছেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের(Lakshmir Bhandar) মাধ্যমে প্রতিমাসে হাত খরচা টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের অর্থ সাহায্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি মাসে এই প্রকল্প নিয়ে নতুন অভিযোগ সামনে আসছে। অনেকেই বলছেন দেরিতে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকছে টাকা। আপনি টাকা পেয়েছেন? টাকা না পেয়ে থাকলে কি করবেন এবার সেটাই জেনে নিন।
অপেক্ষার অবসান! অবশেষে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে নতুন আপডেট চলে এলো! একনজরে জেনে নিন
Lakshmir Bhandar Scheme 2024
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের অনুদান দ্বিগুণ করেছেন। সারা রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে(Lakshmir Bhandar) নাম নথিভুক্ত হয়েছে লাখ লাখ মহিলার। লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যারা সুবিধাভোগী তাঁদের প্রতিমাসে ৫০০ টাকার বদলে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আর সংরক্ষিত শ্রেণীভুক্ত মহিলাদের ১০০০ টাকার বদলে ১২০০ টাকা দেওয়া হবে। নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় মুখে হাসি ফুটেছিল রাজ্যবাসী মহিলাদের।
লক্ষ্মীর ভান্ডারে পাবেন ১৫০০ ও ২০০০ টাকা! পুজোর পর বাড়ছে ভাতা! নতুন আপডেট জেনে নিন
Lakshmir Bhandar Money Update 2024
সাধারণত, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তরা প্রতি মাসের শুরুর দিকে ৪-৬ তারিখের মধ্যে এই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যান ব্যাংক একাউন্টে। তবে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ক্ষেত্রে টাকা আসতে দেরি হচ্ছিল বলে খবর (Lakshmir Bhandar). বর্তমান উত্তাল পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন টাকা পাঠাতে দেরি করছে, সেই চিন্তায় ছিলেন লক্ষ্মীরা। এমনকি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলেও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। যদিও সূত্রের খবর, কদিন দেরিতে হলেও অবশ্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রকল্পের টাকা পৌঁছেছে। জানা যাচ্ছে, প্রকল্পের নতুন নাম লেখানো মহিলারা পুজোর পর থেকে টাকা পাবেন((Lakshmir Bhandar).
একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তা প্রায় ১২ লক্ষ ৬০০। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এই জেলার অধিকাংশ উপভোক্তাই প্রকল্পের টাকা পেয়ে গেছেন। এখনো পর্যন্ত যারা টাকা পাননি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে তা পেয়ে যাবেন। বছর দুয়েক আগে জেলায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা ছিল প্রায় ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮০০ এর কাছাকাছি।
তবে পরে নতুন করে আরও তিন লক্ষাধিক মহিলা প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেন বলেও জানা যাচ্ছে। শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নয় পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্র একই রকম ভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা নিয়ে অপেক্ষা কাটছে বঙ্গলক্ষ্মীদের। আশা করা যায়, যারা এখনো টাকা পাননি, তাঁরা আর কিছু দিনের মধ্যেই টাকা পেয়ে যাবেন। আর যদি দীর্ঘদিন টাকা না পান তাহলে নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন।