বাইক, গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আর দিতে হবেনা টেস্ট। নির্দ্ধা কিনুন গাড়ি।

বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক রাস্তায় গাড়ি অথবা মোটরসাইকেল চালানোর জন্য। এতদিন RTO অফিসে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া দিতে হতো নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে। কিন্তু এখন আর তা বাধ্যতামূলক থাকছে না কেন্দ্রের নতুন নিয়মে। এবার খুব সহজেই আবেদন করা যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। সময় যত এগিয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়মও ততই পরিবর্তিত হয়েছে। আপনার বয়স যদি কম হয়, তাহলে আপনাকে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। তার জন্য আপনার কোনও পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন নেই।

Driving License

আপনি যদি লার্নার লাইসেন্স পেয়ে যান, তাহলে গিয়ারহীন গাড়ি বা স্কুটার চালাতে পারেন। তার থেকেও বড় কথা হল, লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনাকে কোনও পরীক্ষায় বসতে হয় না। এখন আর নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য RTO অফিসে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। এই সুবিধা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের নিয়মে পরিবর্তন আনার পরে। এই নিয়ম এনেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্র।

আর দিতে হবে না 12% হারে সুদ, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড থেকে 4% সুদের হারে ঋণ নিন।

সেখানে জানানো হয়েছে ট্রেনিং শেষ হওয়ার পরেই নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন জানানো যাবে। ট্রেনিং পাওয়া যাবে ড্রাইভার ট্রেনিং সেন্টার থেকে। কেন্দ্র অথবা রাজ্যের পরিবহণ দফতর এই ধরনের ট্রেনিং সেন্টারগুলির উপরে নজর রাখবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে এই ধরনের যে কোন একটি ট্রেনিং সেন্টারে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। পরীক্ষা নেওয়া হবে সেন্টারের তরফ থেকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স মিলবে পরীক্ষা পাশ করলে।

এই পরীক্ষা পাশ করলে ট্রেনিং সেন্টার একটি সার্টিফিকেট দেবে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা যাবে এই সার্টিফিকেট দেখিয়ে। ফলে এই সহজ উপায়ে RTO অফিসে পরীক্ষা না দিয়েই পাওয়া যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে থাকবে সিমুলেটর। এছাড়াও ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ট্র্যাক থাকতে হবে। এই পরীক্ষায় পাশ করলেই RTO অফিসে পরীক্ষা না দিয়েই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে।

লাইট মোটর ভেইকেল ছাড়াও মিডিয়াম ও হেভি মোটর ভেইকেলসের ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়া যাবে এই ট্রেনিং সেন্টারগুলি থেকেই। LMV- র ক্ষেত্রে মোট 29 ঘণ্টার ট্রেনিং নিতে হবে। 4 সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে এই কোর্স। এই সময় থিওরি ক্লাসের সঙ্গে চলবে ড্রাইভিংয়ের প্র্যাকটিকাল ক্লাস। নির্দিষ্ট কিছু পরিকাঠামো থাকতে হবে ট্রেনিং সেন্টারগুলির কাছেও। সেই পরিকাঠামো না থাকলে এই ট্রেনিং সেন্টার লাইসেন্সের পরীক্ষা নিতে পারবে না।

পশ্চিমবঙ্গে বদলে গেল বাড়ি ভাড়ার নিয়ম। বাড়ির মালিকের জুলুমের দিন শেষ।

ট্রেনিং সেন্টার সম্পর্কিত এই নিয়মাবলী গত বছর জুনে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিল। যদিও কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।সেই সব রাজ্যের মতে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়ার বেসরকারিকরণ হয়ে যাবে। অনেকেই মনে করছেন সঠিক পরীক্ষা না নিয়েই সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু করতে পারে কিছু ট্রেনিং সেন্টার। যা ভারতের রাস্তাকে ভবিষ্যতে করে তুলতে পারে আরও অসুরক্ষিত।