সরকার জনসাধারণের জন্য যে যে প্রকল্প চালু করেছে, তার প্রত্যেকটির নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য থাকে (Government Scheme)। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়া হয় তাঁদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের স্বার্থে (Government Scheme)। প্রবীণ মানুষদের ভাতা দেওয়া হয় তাদের অবসর জীবন নিশ্চিত করার জন্য (Government Scheme)।
এছাড়াও দরিদ্র মানুষদের জন্য, মহিলাদের জন্য যে যে সরকারি প্রকল্প রয়েছে, তার প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা কার্যকারিতা রয়েছে (Government Scheme)। তেমনভাবেই বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য সরকারের তরফে বেরোজগারি যোজনা চালু করা হয়েছে (Government Scheme)। প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি এবং আবেদন যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। অবশ্যই তার জন্য সম্পূর্ণ প্রতিবেদন আপনাদের মন দিয়ে পড়ে নিতে হবে।
Government Scheme 2024
পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সকলের কাছে স্বপ্নের মতো। তবে, চাকরি খোঁজার প্রক্রিয়া এবং চাকরিতে থিতু হওয়ার আগে সকলের টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়। ভালোভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিতে গেলেও আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। আর তাই ভাতা দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকে সরকার। (Government Scheme)।
রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীরা সরকারি সাহায্য নিয়ে নিজেদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। (Government Scheme)। আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে বেরোজগারি যোজনা সম্পর্কে। আপনারাও যদি আবেদন জানানোর জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই প্রকল্পের নিয়মকানুন জানতে হবে। আসুন তবে দেরি না করে বিস্তারিত জানা যাক।
বেরোজগারি ভাতা যোজনা কি?
রাজ্যের যুবকদের চাকরি খুঁজতে সহায়তা করা যেমন সরকারের দায়িত্ব, ঠিক তেমনভাবেই সেই যুবক যুবতীরা যতদিন উপযুক্ত চাকরি না পাচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত তাঁদের বেকারত্ব ভাতাও প্রদান করা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আর সেই দায়িত্ব পালন করে রাজ্য সরকার। বেরোজগারি ভাতা যোজনা সম্পর্কে যেহেতু আমরা আলোচনা করছি তাই এই বিষয়ে বলা যাক, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই যোজনার অধীনে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দেবে সরকার।
আবেদনরত বেকার যুবক-যুবতীরা এই টাকা পাবেন। দেশের একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের সরকার বেকার যুবক ও যুবতীদের চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য প্রদান করার লক্ষ্যে চালু করেছে এই প্রকল্পটি। প্রত্যেকটি প্রকল্পের মতো এই প্রকল্পের ক্ষেত্রেও আবেদন যোগ্যতা এবং আবেদনের নিয়মাবলী রয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা সে বিষয়ে অবশ্যই জেনে নিন।
‘বেরোজগারি ভাতা যোজনার’ সুবিধা কি কি?
বেরোজগারি ভাতা যোজনা অর্থাৎ বর্তমানে যারা চাকরির খোঁজে রয়েছেন, তাঁদের জন্যই সরকারি প্রকল্পটি। এই প্রকল্পের অধীনে যুবক যুবতীরা ততদিন পর্যন্ত সরকারি সাহায্য পাবেন যতদিন না তাঁরা একটি নির্দিষ্ট চাকরি পাচ্ছেন। এই প্রকল্পের অধীনে প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়। তবে এই প্রকল্পের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা আছে যা অন্যান্য বেকার ভাতায় দেওয়া হয় না।
‘বেরোজগারি ভাতা যোজনা’ একটি বেকারত্ব ভাতার পাশাপাশি, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি পান। সরকারের প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের কাছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এবং নতুন চাকরির তথ্য চলে আসে। এর পাশাপাশি স্কিমের সুবিধাভোগীদের ডাকা হয় কর্মসংস্থান সঙ্গম এবং কর্মসংস্থান মেলাতে।
প্রার্থীরা যাতে আরো ভালো কাজের সুযোগ পেতে পারেন, তার জন্য সব রকম ভাবে সাহায্য করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই প্রকল্প শুধু আর্থিক সাহায্য প্রদান করা নয়, বরং আবেদনকারী প্রার্থীদের সঠিক চাকরির দিশা দেখাতেও সাহায্য করে। এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয়। বরং উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্কিম। সেই রাজ্যের যুবক যুবতীদের জন্য উপকারী।
‘বেরোজগারি ভাতা যোজনার’ যোগ্যতা
সরকারের এই প্রকল্পে, দ্বাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতক পাস বেকার যুবক-যুবতীদের ভাতা এবং চাকরির সুবিধা প্রদান করা হয়। চাকরিতে যুক্ত কোন প্রার্থী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। যারা চাকরি খুঁজছেন এই প্রকল্প তাঁদের জন্য। যেহেতু এই প্রকল্প উত্তর প্রদেশের তাই স্কিমের আবেদনকারীকে অবশ্যই ওই রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য আবেদনকারীর পারিবারিক বার্ষিক আয় আয় হতে হবে ৩০,০০০০ টাকার নীচে।
‘বেরোজগারি ভাতা যোজনার’ আবেদন প্রক্রিয়া
প্রকল্পে আবেদন জানাতে হলে প্রার্থীকে প্রথম ধাপে সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পর হোমপেজে ক্লিক করতে হবে ‘বেরোজগারি ভাতা যোজনা’ 2024 -এই লিঙ্কে। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ে প্রার্থীদের লগ ইন করতে হবে। এরপরের ধাপে আবেদনপত্রটি নিজের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে পূরণ করতে হবে। তারপর সমস্ত ডকুমেন্ট ঠিকঠাক ভাবে জমা দিতে হবে। সবশেষ প্রার্থীর আবেদন বিবেচনা করে ঠিক করা হবে তিনি এই স্কিমের অধীনে সাহায্য পাওয়ার জন্য যোগ্য কিনা। তিনি যোগ্য হলে সরকারি সাহায্য পাবেন।