আমাদের দেশ শস্য-শ্যামলা। আর আমাদের রাজ্য কৃষিক্ষেত্রে পরিপূর্ণ। শ্যামলা ভারতবর্ষে একজন ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের অভাব হয় না। দেশের জনসাধারণের মুখে খাবার তুলে দিতে নিরন্তর পরিশ্রম করেন ভারতীয় কিষানরা (Farmer Loan)। তবে তাঁদের অনেকেরই জীবন সচ্ছল নয়। দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক অনটনের মুখোমুখি হতে হয়। আর তাই কৃষকদের জন্য নানান প্রকল্প, সুযোগ সুবিধা চালু (Farmar Loan) করেছে দেশের সরকার।
শুধু দেশের সরকার নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও কৃষক দের কথা ভেবে নানান সরকারি স্কিম চালু করেছে। কৃষকদের সুবিধা দিতে দেশের সরকার সহজ শর্তে ঋণদান (Farmer Loan) শুরু করে। এখনো পর্যন্ত সরকারি ঋণে (Farmer Loan) কৃষকরা তাদের প্রয়োজনমতো সাহায্য পেয়ে থাকেন।
আজকে আমরা আলোচনা করব কিষান যোজনার একটি নয় বরং জোড়া সুখবর সম্পর্কে (Farmer Loan)। জানা যাচ্ছে, চাষিরা এবার থেকে 2 লাখ টাকা করে পাবেন। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হল, কারা পাবেন, আর কিভাবে মিলবে এই সুবিধা? আসুন বরং চটপট জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়।
Farmer Loan: কৃষকদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত!
গত কয়েক মাসের ভোটযুদ্ধের পর ৪ জুন ভোটের রেজাল্ট প্রকাশ হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্বে আসার পর থেকে দেশবাসীর জন্য আরো নানান ধরনের প্রকল্প রূপায়ণের আশ্বাস দিয়েছেন। আর তারই প্রতিফলন স্বরূপ কিষানদের জন্য সুবিধা প্রদানের কথাও জানিয়েছেন।
যে সকল সিদ্ধান্ত অবশ্যই মুখে হাসি ফোটাবে সবার। কৃষকদের জীবনযাত্রা আরো অনেক বেশি সচ্ছল হবে। তাঁরা সমস্ত আর্থিক অনটন কাটিয়ে সমাজে আরও ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। দেশের কৃষকদের প্রতি আমরা সবাই কৃতজ্ঞ। ওনাদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানিয়ে সরকার এক বড় সিদ্ধান্তের আভাস দিয়েছেন।
অন্নদাতাদের জন্য সরকার অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে চলেছে। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক, কোন যোজনায় আপনারা কি সুবিধা পাবেন, আর কিভাবে মিলবে সেই সুবিধা। সবটাই পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হলো আজকের এই প্রতিবেদনে।
কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প!
ভারত সরকার কৃষকদের জন্য কিষান সম্মান নিধি যোজনা (Kisan Sanman Nidhi Yojana) চালু করেছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর ৬০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়। এই প্রকল্পের টাকা মোট তিনটি কিস্তিতে ২ হাজার করে সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে চলে যায়। ইতোমধ্যে দেশের বহু কৃষক ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনা’ বা ‘কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা’ প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন।
তবে শুধুমাত্র ভারত সরকার নয়। এই রাজ্যে বসবাসকারী কৃষকেরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর থেকে আলাদা করে প্রকল্পের সুবিধা পান। যে প্রকল্পের নাম হলো ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’ (Krishak Bondhu Scheme)। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করে থাকে।তবে, সবচেয়ে বড় খবর হলো এই দুই প্রকল্প তো রইলো-ই। এরই মাঝে আরো বড় ঘোষণা করলো সরকার। কৃষকরা পাবেন অতিরিক্ত বেনিফিট। শুনলে অবাক হবেন, সমস্ত কৃষকদের ঘরে ঢুকবে ২ লক্ষ টাকা।
এবার থেকে কৃষকরা পাবেন ২ লক্ষ টাকা!
ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে নানান প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণের পালা। গত বিধানসভা নির্বাচনে তেলেঙ্গানা রাজ্যের মানুষদের কংগ্রেসের তরফে একটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে এক বছরের মধ্যে এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।
জনসাধারণের ভোটে তেলেঙ্গানা রাজ্যে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। আর তারপরেই কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সুবিধার ঘোষণা করা হলো। এবার থেকে ওই রাজ্যের কৃষকরা পাবেন অতিরিক্ত এক সুবিধা। এক বছরের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি মেনে কৃষকদের এই বেনিফিট দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে? আর কোন প্রতিশ্রুতি রাখা হতে চলেছে?
আসলে তেলেঙ্গানা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার গঠন হলে ঠিক এক বছরের মধ্যে তাঁদের তরফে কৃষকদের কৃষি ঋণ (Farmer Loan) মুকুব করা হবে।
জনসাধারণের ভোটে তেলেঙ্গানা রাজ্যে কংগ্রেস সরকার গঠন হওয়ার পর তার ঠিক এক বছরের মধ্যেই গত শুক্রবার তেলেঙ্গানা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি ঘোষণা করলেন কৃষকদের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মুকুব হবে। আর এই সিদ্ধান্তের ফলে যে সকল কৃষকরা কৃষি ঋণ নিয়েছিলেন তাদের আর সেই টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও তেলেঙ্গানা রাজ্যের চাষীদের কৃষি ঋণ নিয়ে নানান সময় বিভিন্ন ধরনের ঋণ মুকুবের সুযোগ এসেছে। তেলেঙ্গানার অতীতের সরকার আগের ১০ বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা কৃষি ঋণ মুকুব করে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল।