বিচারপতি বিচারপতি সংঘাত! Kolkata High Court এ এইবার অভিযোগ ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে মেডিকেল কলেজে ভর্তি নিচ্ছে বহু পড়ুয়া। এমনটাই অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছিলেন ইতিশা সোরেন। তাঁর অভিযোগ ছিল যে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বহু পড়ুয়া ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ভর্তি হচ্ছে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি গাঙ্গুলি সিবিআই-র উপর দায়িত্ব ভার তুলে দেয় এবং মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে এফআইআর-র নির্দেশ দেওয়া হয়।
Kolkata High Court
তবে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) ডিভিশন বেঞ্ছ সিবিআই-র এই এফআইআর খাজির করে দিল গতকাল।মেডিকেল ভর্তি দুর্নীতি নিয়ে এফআইআর-র নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সেই নির্দেশ মেনেই এফআইআর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে সিঙ্গেল বেঞ্ছের দেওয়া এই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্ছ।
সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মেডিকেল ভর্তি দুর্নীতি মামলার মাধ্যমে সিবিআই আদালত থেকে যা যা তথ্য নিয়েছে তা অবিলম্বে আদালতে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) ডিভিশন বেঞ্ছ। গত বুধবার থেকেই মেডিকেল ভর্তি দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্ছ ও ডিভিশন বেঞ্ছের মধ্যে টানাপড়েন চলছে।
প্রথমে এই মামলা বিচারপতি গাঙ্গুলির এজলাসে ওঠে। আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্ছ এই মামলায় সিবিয়াই তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং মামলার সমস্ত তথ্য সিবিআই-র হাতে তুলে দেয়। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশের উপর এই আদালতের আস্থা নেই। তারা এখনও শাহজাহানকেই ধরতে পারেনি। রাজ্যে ক্রমে দুর্নীতিগ্রস্তদের আখড়া তৈরি হচ্ছে, অথচ পুলিশের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা নজরে পড়ছে না।
সুপারিশ পেয়েও হয়নি নিয়োগ! আদালতে মিথ্যা হলফনামা পেশ, পর্ষদ সচিবকে তলব হাইকোর্টের।
তাই আদালত মনে করছে এই মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেই দেওয়া যথাযথ হবে।’’ তবে এ দিন বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশের এক ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্ছের দারস্ত হয়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্ছ মামলাটির মৌখিক স্থগিতাদেশ দিলেও সিঙ্গেল বেঞ্ছে সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয়।
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে ডিভিশন সিবিআই-র করা এফআইআর খারিজ করে দেয়। শুধু তাই নয়, মামলার সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত তথ্য সিববিআই আদালত থেকে নিয়েছে তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্ছ। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্ছের এই নির্দেশকে অবৈধ বলেছেন সিঙ্গেল বেঞ্ছের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
আর জড়ানো, অস্পষ্ট নয়! এবার স্পষ্ট ভাবে লিখতে হবে প্রেসক্রিপশন। নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এমন নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্ছের বিচারপতি সৌমেন সেন। এমনটাই দাবি করলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “FIR খারিজের যে নির্দেশ বিচারপতি সেন দিয়েছেন সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন, ফলে সেটা বৈধ নয়। CBI এর উচিত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।” পাশাপাশি এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) হস্তক্ষেপ চাইলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি।