বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি পরিবারে LPG সিলিন্ডারের বহুল ব্যবহার হয়। আগের মতো উনুন কাঠ কয়লায় রান্না অতীত হয়েছে। বদলে ঘরে ঘরে চলে এসেছে এলপিজি সিলিন্ডার(LPG Cylinder). বাড়িতে বসেই ফোন দিয়ে বুকিং করতে হয় আর বাড়িতেই চলে আসে সিলিন্ডার(LPG Cylinder). তারপর প্রয়োজনীয় অর্থ প্রোভাইডারকে দিয়ে দিতে হয়। এভাবেই বাংলার ঘরে ঘরে এলপিজি গ্যাস(LPG Cylinder) সরবরাহ চলছে।
তবে এবার যেন শোনা গেল এক আশঙ্কার খবর। এবার থেকে টাকা দিলেও নাকি পাওয়া যাচ্ছে না রান্নার গ্যাস। পরিস্থিতি বেশ সংকট। রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন প্রত্যেক গ্রাহক। জানা নেই পরিস্থিতির প্রতিকার কবে। যদিও কোমর বেঁধে লেগেছে সংস্থাগুলি। কিন্তু কি এমন সমস্যা? কেন রান্নার গ্যাসের এমন আকাল? বিস্তারিত রইল আজকের প্রতিবেদনে।
সেপ্টেম্বর থেকেই বাড়ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা? নতুন আপডেট পেতেই হইচই পড়ে গেল চারিদিকে
LPG Cylinder News 2024
অনেকেই বলছেন, গ্যাস বুক করেও গ্যাস নাকি মিলছে না সিলিন্ডার(LPG Cylinder)। যে কারণে বাংলার এখন বহু বাড়িতে রান্না করা রীতিমতো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রত্যেকটি বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার(LPG Cylinder) ব্যবহার করা হয় রান্নার জন্য। আগে যেখানে গ্যাস বুক করলে মোটামুটি এক থেকে দুই দিনের মধ্যে চলে আসত এখন সেটাই ৪-৫ দিন কেটে গেলেও আসতে চাইছে না(LPG Cylinder).
যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ বেশ চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। এই বিষয়টির সমাধান চেয়ে স্থানীয় ডিলারদের কাছে গেলেও সকলে একটাই বক্তব্য প্রকাশ করছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আরও কয়েক কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। কলকাতার উত্তর দক্ষিণ সর্বত্র এখন একটাই ছবি।
সাধারণ মানুষের মাথায় ঘুরছে একটাই চিন্তা, যদি এলপিজি সিলিন্ডার না পাওয়া যায় তাহলে রান্না হবে কি করে? প্রত্যেকের বাড়িতে যাও বা গ্যাস আছে তাতে হয়তো তিন থেকে চার দিন চলবে, তারপর যদি গ্যাস না আসে, তখন কি হবে? ফলে সত্যি বলতেই চিন্তিত মানুষজন(LPG Cylinder). আবার এও প্রশ্ন উঠছে, আচমকাই কেন এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হল? আর এবার এই বিষয়ে এবার মুখ খুলল ইন্ডিয়ান অয়েল।
LPG Cylinder Latest Update 2024
যা চিত্র দেখা যাচ্ছে, গোটা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একই দৃশ্য বর্তমান। নির্দিষ্ট অংশে রান্নার গ্যাসের আকাল যেন ক্রমাগত সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে চলেছে(LPG Cylinder). প্রত্যেকের চিন্তার কারণ ও সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন, আচমকা শহরে কেন রান্নার গ্যাসের আকাল দেখা যাচ্ছে? আর এই পরিস্থিতির পিছনে দায়ী ঘটনাটি আসলে কি? সম্প্রতি এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়ান ওয়েলের তরফে খবর কল্যাণীতে টানা কর্মবিরতি চলার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সাধারণত অনেকদিন ধরেই শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল কল্যাণীতে ইন্ডেনের এলপিজি বটলিং প্লান্টে। আর এই ঘটনার জেরে টানা ৭ দিন ধরে বন্ধ ছিল কারখানায় কাজ। আর এখন থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কলকাতার একটা বড় অংশে সিলিন্ডার সরবরাহ হয়। যেহেতু টানা এই বিক্ষোভের জেরে বন্ধ ছিল কাজ, ফলে জায়গায় জায়গায় গ্যাসের আকাল আমজনতাকে সমস্যায় ফেলেছে। তবে খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাড়িতে ফ্রিজ থাকলে আর করা যাবে না রেশন কার্ড! নতুন নিয়মে বেজায় সমস্যায় জনসাধারণ
তবুও সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, মুখে বলা হলেও কাজে কবে পরিস্থিতির প্রতিকার ঘটবে? সম্প্রতি এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে আশ্বাস দেওয়া হল, গ্যাসের আকাল আর দেখা দেবে না। এরমধ্যে বিজেপি সমর্থিত ঠিকা ট্রান্সপোর্ট মজদুর সঙ্ঘ বড় এক দাবি করলো। সঙ্ঘের সম্পাদক সঞ্জীব মালো সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি বললেন, ‘‘তৃণমূলের সংগঠন নিজেদের স্বার্থে কর্মবিরতি করেছে।
কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে আমাদের ৫৭ জন সদস্যের গাড়ি বসিয়ে দিয়েছে।” তিনি আরো বলেছেন, ন্যূনতম মজুরি, নিয়োগ, এবং কর্মী সুরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক দাবি মানছেন না কর্তৃপক্ষ। আর তাই জন্যই তাঁরা কাজ বন্ধ না করেও সোমবার থেকে আন্দোলনে নেমেছি।’’ তাই আশা করা যাচ্ছে, হয়তো খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। শহরে রান্নার গ্যাসের আকাল কমবে সাধারণ মানুষ বুকিংয়ের পরপরই সিলিন্ডার পেয়ে যাবেন।