EWS certificateসংরক্ষণে এল বড়ো বদল। রাজ্যের জেনারেল প্রার্থীদের পাশাপাশি এবার থেকে EWS সংরক্ষণে OBC প্রার্থীরাও অংশ নিতে পারবেন!এমনটাই জানানো হল, রাজ্যের তরফে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সরকারের তরফে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের যেসব OBC প্রার্থীরা সেন্ট্রাল লিস্টের অন্তর্ভুক্ত নন, তারা এবার থেকে EWS সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর ফলে রাজ্যের OBC রা আগামী দিনে EWS সার্টিফিকেটের সুবিধা নিতে পারবেন।
EWS certificate
এই প্রতিবেদনে EWS এর ব্যাপারে সমস্ত তথ্য আলোচনা করা হল। এই সার্টিফিকেটের উপকারিতা, যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পড়ুন এই প্রতিবেদনেটি।
পুরো নাম কী EWS- এর?
EWS এর ফুল ফর্ম হলো Economically Weaker Section, যার বাংলা তর্যমা করলে দাঁড়ায়, ‘অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ’।
কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন EWS সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য?
1) আবেদনকারীর পরিবারের যদি শহরে আবাসিক ফ্ল্যাট যদি থাকে তবে তা 1000 বর্গফুটের কম হতে হবে। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি হলে, তা 200 বর্গফুটের কম হতে হবে।
2) এত দিন পর্যন্ত প্রার্থীদের জেনারেল শ্রেণীভুক্ত হতে হত। তবে এবার থেকে রাজ্য OBC হলেও আবেদন করা যাবে।
3) পরিবারের সদস্যদের একত্রিত ভাবে 5 একরের কম কৃষি জমি থাকতে হবে।
4) আবেদনকারীর পরিবারের বাৎসরিক আয় 8 লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
EWS সার্টিফিকেটের সুবিধা কী?
EWS সার্টিফিকেটটি সরকারের তরফে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জেনারেল জাতিভুক্তদের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই সংরক্ষণের মাধ্যমে, সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে মোট আসনের 10 শতাংশ আসন সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, বদলে যাচ্ছে বই! পড়ুয়াদের কোন বই পড়তে হবে?
EWS সার্টিফিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় নথি:
(1) সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন
(2) মোট জমি ও সম্পত্তির নথি
(3) ভোটার কার্ড / প্যান কার্ড
(4) রাজ্যের স্থায়ী বসবাসের সার্টিফিকেট
(5) জন্ম সার্টিফিকেট বা মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
১০ বছরের পুরনো আধার কার্ড গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশ। এই কাজ না করলে সুবিধা পাবেন না।
EWS সার্টিফিকেটের আবেদন পদ্ধতি:
EWS সার্টিফিকেটের জন্য অফলাইনে আবেদন করতে হবে। নীচের লিঙ্কটি ক্লিক করে সহজেই আপনারা অফলাইন ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপর আবেদনপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করে ফেলুন। পূরণ করা আবেদনপত্রের সঙ্গে এরপর সংযুক্ত করুন প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টস। সব শেষে নির্দিষ্ট জায়গাতে আবেদন পত্রটি জমা করুন।
উল্লেখ্য, সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’। এই আইন অনুযায়ী, বার্থ সার্টিফিকেট দেখালেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যাবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে, ভোটার তালিকা তৈরিতে কাজে লাগবে, আধার পেতেও সাহায্য করবে, বিয়ের রেজিস্ট্রেশনেও ব্যবহার করা যাবে, সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। অর্থাৎ এই সবগুলি ক্ষেত্রে একক প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচিত হবে বার্থ সার্টিফিকেট।
প্রসঙ্গত,এই আইন অনুযায়ী, জাতীয় ও রাজ্য স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৩’। এই আইনের ফলে জনসেবা, সামাজিক সুবিধা ও ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে আরও।স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই গত ২৬ জুলাই পেশ করেছিলেন এই বিলটি। লোকসভায় এই বিল পাশ হয় ১ অগস্ট। রাজ্যসভায় ৭ অগস্ট ধ্বনিভোটে বিলটি পাশ হয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, বদলে যাচ্ছে বই! পড়ুয়াদের কোন বই পড়তে হবে?
নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন তৈরি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও সংশোধনই হয়নি৷ কিন্তু সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত বদলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই আইনটি আরও সাধারণ মানুষের আরও উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন ছিল৷ সেই কারণেই সংশোধনী আনা হয়েছে৷