PM Yashasvi Scholarship 2024: কেন্দ্রীয় সরকারি স্কলারশিপে ছাত্রছাত্রীরা পাবেন ৭৫,০০০ টাকা! নবম শ্রেণী পাশ করলেই বৃত্তি! আবেদন পদ্ধতি জানুন

ভারতের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ (Scholarship) স্কিম চালু রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি তরফে একাধিক বৃত্তি চালু রয়েছে। এই প্রতিটি স্কলারশিপের দ্বারা উপকৃত হন পড়ুয়ারা (Scholarship)। বিভিন্ন শ্রেণীতে উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে বৃত্তির অর্থ সাহায্য মেলে। কোন কোন বৃত্তি মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে মেলে।

আবার কোন স্কলারশিপ দেওয়া হয় শ্রেণীর পাশের সঙ্গে (Scholarship)। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পথে যাতে কোন বাধা বিঘ্ন না আসে প্রত্যেকটি বৃত্তি ভারতে সেই উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব একটি সরকারি বৃত্তি প্রকল্প (Scholarship) সম্পর্কে। এই বৃত্তির দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার্থীদের ৭৫,০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য পাঠায় (Scholarship)।

একজন পড়ুয়া যদি নবম শ্রেণী কিংবা একাদশ শ্রেণী পাশ করেন, তাহলেই এই বৃত্তি প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবেন (Scholarship)। আপনিও যদি আবেদন জানাতে চান, তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন মন দিয়ে পড়ে নিন। এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো কেন্দ্রীয় সরকারের এই বৃত্তি প্রকল্প (Scholarship) সম্পর্কে। আশা করা যায়, উপকৃত হবেন ভারতবর্ষের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী।

Central Government Scholarship Scheme 2024

কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার্থীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্কলারশিপ প্রদানের মাধ্যমে। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয় রাজ্য সরকারি তরফে বিভিন্ন বৃত্তি চালু রয়েছে (Scholarship)। প্রত্যেকটি বৃত্তির আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা লাগে। স্কলারশিপ (Scholarship) স্কিমে আবেদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট লাগে।

অনলাইনে অথবা অফলাইনের মাধ্যমে এই স্কলারশিপের জন্য অ্যাপ্লিকেশন জমা করা যায়। তবে তার জন্য সেই স্কলারশিপ সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্যগুলো জেনে নিতে হবে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘প্রধানমন্ত্রী যশস্বী যোজনা’ স্কলারশিপ সম্পর্কে। গোটা বিষয়টি পড়ে নিন মন দিয়ে।

Nabanna Scholarship 2024: রাজ্যে নবান্ন স্কলারশিপের আবেদন শুরু কবে থেকে? কোন কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে? বিস্তারিত জেনে নিন

‘প্রধানমন্ত্রী যশস্বী যোজনা’ স্কলারশিপ কী?

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে চালু হওয়া এই বৃত্তিটি ভারতীয় সমাজের নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান ও সন্ততি দের প্রদান করা হয়। তবে অবশ্যই তাঁদের পড়াশোনার সাথে যুক্ত থাকতে হবে। এই বৃত্তির মাধ্যমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয় এবং তাঁদের সাহায্য করা হয়। অর্থাৎ নবম শ্রেণীতে পাশ করলেই এই বৃত্তি সাহায্য মেলে। এই বৃত্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার অর্থ সাহায্য তুলে দেয়।

স্কলারশিপের যোগ্যতার মানদণ্ড কি কি?

প্রতিটি স্কলারশিপের মতো এই বৃত্তি প্রকল্পেও বেশ কিছু যোগ্যতার মানদন্ড রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি কি। ‌

  • এই স্কলারশিপের আবেদন জানাতে হলে পড়ুয়াকে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • আবেদনকারী পড়ুয়ার পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ২.৫ লক্ষ টাকার নিচে।
  • আবেদনকারী পড়ুয়াকে নবম শ্রেণী অথবা একাদশ শ্রেণি পাশ করে থাকতে হবে।

স্কলারশিপের সুবিধাগুলি কি কি?

ভারতের মেধাবী অথচ আর্থিকভাবে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সাহায্য করার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার এই বৃত্তি প্রকল্প চালু করেছে।স্কলারশিপটি ভালো অংকের আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। যদি একজন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণী পাশ করে থাকেন, তবে নবম ও দশম গ্রেডের শিক্ষার্থীরা পাবেন ৭৫ হাজার (৭৫,০০০) টাকার আর্থিক সাহায্য। এছাড়া তিনি যদি একাদশ শ্রেণী পাশ করেন, অর্থাৎ একাদশ ও দ্বাদশ গ্রেডের পড়ুয়ারা পাবেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার (১,২৫,০০০/-) বৃত্তি সাহায্য। ‌এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী দের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। নিজেদের পছন্দের মতো পথে এগিয়ে চলবেন।

SVMCM 2024: স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা নিয়ে নতুন আপডেট। কবে পাবেন টাকা? কি করতে হবে? বিস্তারিত জানুন

স্কলারশিপের আবেদন জানাবেন কিভাবে?

  • প্রথম ধাপ: প্রথমে আপনাকে ভিজিট করতে হবে প্রধানমন্ত্রী যশস্বী স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে
  • দ্বিতীয় ধাপ: ওয়েবসাইটে ভিজিট করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
  • তৃতীয় ধাপ: এরপর নিবন্ধিত ফর্মটি সাবধানে পড়ুন এবং যথাযথভাবে পূরণ করুন, সাবমিট করুন।
  • চতুর্থ ধাপ: সঠিক ভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর একটি ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড পাবেন।
  • পঞ্চম ধাপ: আপনি নতুন আবেদন জানালে পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম দিয়ে পোর্টালে লগ ইন করুন।
  • ষষ্ঠ ধাপ: এবার যে আবেদন পত্রটি পাবেন সেটি সঠিক ভাবে ফিল আপ করুন।
  • সপ্তম ধাপ: এরপর যে যে নথি চাওয়া হয়েছে, সেগুলি একে একে আপলোড করুন।
  • অষ্টম ধাপ: একবার গোটা ফর্মটি রিচেক করে নিন তারপর অনলাইনে সাবমিট করে দিন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এরপরেও যদি আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয় কোন তথ্য জানার থাকে, আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে, স্কলারশিপের অর্থ এবং আবেদন যোগ্যতা সম্পর্কে এবং সর্বোপরি স্কলারশিপের স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে চাইলে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নজর রাখবেন। ‌

Scroll to Top