Government Scheme: রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে সবাই পাবেন মাসে মাসে 1000/- টাকা। ভোটের পরেই নতুন সিদ্ধান্ত জানাল সরকার

পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রাজ্যের অধিবাসীদের কল্যাণস্বার্থে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন (Government Scheme)। বিগত কয়েক বছরে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে অনেকগুলি প্রকল্পের আরম্ভ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রকল্প (Government Scheme) সারা রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা দেশে সমাদৃত। বছরের নানান সময় এই সকল প্রকল্পে আবেদন গ্রহণ চলে।

আবেদন জানাতে পারেন সমাজের দিন-দরিদ্র মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, পুরুষ, মহিলা, ও অন্যান্যরা (Government Scheme)। প্রয়োজন সাপেক্ষে কৃষক ও শ্রমিকদের জন্যেও রাজ্য সরকার প্রকল্পের সূচনা করেছে। নিঃসন্দেহে প্রত্যেকটি প্রকল্প জনতার মুখে হাসি ফোটায়। বেশ কিছু প্রকল্পের (Government Scheme) মধ্যে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি সবার মধ্যে অধিক মাত্রায় জনপ্রিয়।

এই প্রকল্পে বর্তমানে ১০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য করা হয় বাংলার মহিলাদের (Government Scheme)। কিন্তু এটা জানা আছে কি, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ছাড়াও এই রাজ্যের সরকার সম্প্রতি নতুন একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে। যে প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে মিলবে আরও এক হাজার টাকা (Government Scheme)। এই প্রকল্পের নাম কি? কারা প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন? কিভাবে আবেদন জানাবেন? এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হলো আজকের এই প্রতিবেদনে। পশ্চিম বাংলার মানুষ অবশ্যই মন দিয়ে পড়ে নিন আজকের প্রতিবেদন।

Ration Card: বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অ্যাকশন। রেশনের নিয়মে বড় বদল!

WB Government Scheme 2024

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী, যোগ্যশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার, ছাড়াও আর নানান ধরনের প্রকল্পের দ্বারা জনসাধারণের কল্যাণকামী হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের বহু মেয়েরা পড়াশোনা ও উচ্চশিক্ষায় সরকারি সাহায্য পাচ্ছে। পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে স্কলারশিপ স্কিম।

পশ্চিমবঙ্গের মা-বোনেদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সূচনা করে চারিদিকে হইচই ফেলে দিয়েছেন। ঘরে ঘরে এখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জয়গান। প্রথমদিকে এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা পেতেন ৫০০/- টাকা ও সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা পেতেন এক হাজার টাকার অর্থ সাহায্য। কিন্তু ভোটের আগেই রাজ্য সরকার ঘোষণা করে জানায়, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়তে চলেছে।

নতুন এই ঘোষণা অনুসারে রাজ্যে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা এবার থেকে ১০০০ টাকা ও সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা ১২০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য পাচ্ছেন। ‌ মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সারা রাজ্যে খুশির আবহ ছড়িয়ে দেয়। এছাড়া সম্প্রতির ‘রূপশ্রী প্রকল্প’ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে এবার থেকে বিয়ের আগেই মেয়েদের ‌২৫,০০০ টাকার অর্থ সাহায্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আর যদি কোনো কারণে‌ টাকা পাঠাতে দেরিও হয় তবে মেয়েরা যেন বিয়ের দিনই ‘রূপশ্রী প্রকল্পের’ টাকা পেয়ে যান। তবে এইসব ঘোষণা এখন অতীত রাজ্য সরকার অন্য একটি প্রকল্প নিয়ে আরও বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। কোন প্রকল্পের জন্য সরকার কোন সিদ্ধান্ত নিল, সেটাই আলোচ্য‌ বিষয়।

WB Government Scheme: সমস্ত প্রকল্প অতীত! এবার ‘বার্ধক্য ভাতায়’ দেদার সুবিধা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। খুশির জোয়ার বাংলায়

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে নতুন সিদ্ধান্ত!

কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার ও রূপশ্রী প্রকল্পের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার অপর একটি প্রকল্প নিয়ে বেশ বড়সড়ো একটি ঘোষণা করলো। আর সেই প্রকল্প হল রাজ্যের প্রবীণ মানুষদের জন্য বার্ধক্য ভাতার প্রকল্প। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতিমাসে অর্থ সাহায্য করে থাকে। সেই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারেন ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা প্রবীণ মানুষেরা।

রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে এই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে নতুন করে ৫০,০০০ জন উপভোক্তাকে যুক্ত করা হবে। আর এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতে খুশির জোয়ার বাংলায়। রাজ্যের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে সুবিধা ভোগ করেন বাংলার অসংখ্য প্রবীণ মানুষ।

ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় বাংলার প্রায় ২০ লক্ষ ১৫ হাজার উপভোক্তা মাসে ১,০০০ টাকা করে পান। রাজ্য সরকার প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকার অর্থ সাহায্য করে থাকে। নয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে আরও ৫০,০০০ জন উপভোক্তা যুক্ত হলে সেই সংখ্যাটা পৌছবে প্রায় ২০ লাখ ৬৫ হাজারের কাছাকাছি। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মতো ২০২১ সাল থেকেই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

রাজ্যবাসী পাবেন প্রতিমাসে ১০০০ টাকা

রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বাংলার মহিলারা ১০০০ টাকা করে তো পাচ্ছেনই। তবে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পেও প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন যোগ্য বাংলার ৬০ বছরের অধিক বয়সী নাগরিকরা। ‌এই সমাজে যারা সিনিয়র সিটিজেন নামে পরিচিত।

যে সকল ব্যক্তিরা বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের সুবিধা পান, তাঁদের জন্য রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্য পূর্ণ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প চালানোর জন্য কেন্দ্র সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিপুল টাকার অর্থ সাহায্য করে। আর সেই সাহায্যের দ্বারা রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে পারে।