রেশন (Ration Card) প্রথা বহুযুগ ধরে চলে আসছে। দেশের সরকার সাধারণ জনগণদের কথা মাথায় রেখে রেশন প্রথা চালু করেছেন। ভারতবর্ষে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মানুষ তাদের এক বেলার খাবার টুকু জোগাড় করতে পারছেন না। খাবারের অভাবের কারনে কেউ কেউ মৃত্যুকে অব্দি বরন করে নিয়েছে, এতটাই হতদরিদ্র অবস্থা তাদের। দেশের সব রাজ্যগুলিতে রেশন প্রথার মাধ্যমে সেই সব মানুষদের চাল, ডাল, চিনি, গম থেকে শুরু করে সাবান, শাম্পু খুবই অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে প্রদান করছে সরকার।
Ration Card New Rule and Benefits
করোনা সময় কালে এই রেশনই (Ration Card) সবাইকে বিনামুল্যে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বহু মানুষের দাবি সাধারণ গরিব মানুষদের জন্য দেওয়া এই রেশন সঠিক ভাবে পোঁচাচ্ছে না তাদের কাছে। রেশন ডিলারকে এর জন্য দায়ি করছেন একাংশ, রেশন কান্ডে দুর্নীতি দেখা দিচ্ছে। ডিলাররা চাল গম ওজনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কলা কৌশল করে কারচুপি করছে।
কারচুপির বিরুধে সরকার বিশেষ ভাবে স্টেপ নেওয়ার কথা ভেবেছেন। কিন্তু এই কারচুপির বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিকদের হাজির থাকার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হলেও বাস্তবে সেটা সম্ভব নয়। এর কারণ শুধুমাত্র বাংলাতেই প্রায় 18 হাজার রেশন ডিলার রয়েছে। তাহলে গোটা ভারতবর্ষে রেশন ডিলারের (Ration Card) সংখ্যা কত তা নিশ্চয়ই আন্দাজ করা যাচ্ছে! ফলে ভুলতে হচ্ছে জনসাধারণদের।
জানা গিয়েছে এদিন থেকে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকদের খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। আর এবার খাদ্য দপ্তর এমন একটি উপায় বার করেছেন যার ফলে সরকারি আধিকারিকেরা কন্ট্রোলরুমে বসেই দেশের প্রত্যেকটি প্রান্তের রেশন ডিলাররা কোন গ্রাহক কে কতটা খাদ্যশস্য দিচ্ছেন তার ওপর রিয়েল টাইমে নজরদারি চালাতে পারবেন। এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকরী করার জন্য দেশের প্রত্যেকটি রেশন দোকানে এবার Waiting Scale ব্যবস্থা ইন্সটল করা হচ্ছে।
রেশন কার্ড থাকলেই পাবেন মাথাপিছু 200 টাকা, পুরোটা জানলে আনন্দে আত্মহারা হবেন
Waiting Scale E-POS মেশিনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে। কন্ট্রোল রুম থেকে কতোটা কী পরিমাণে চাল গম দিচ্ছে ডিলাররা তা জানা যাবে। ফলে যদি দেশের কোনো প্রান্তের কোনো ডিলার কারচুপি করে থাকেন সেই বিষয়ে তখন করা ভাবে স্টেপ নেওয়া যাবে। আশা করা যাচ্ছে সরকারের এই উদ্যোগ জনস্বার্থে বিশেষ ভাবে কাজে দেবে এবং তারা এই উদ্যোগে খুশি হয়ে থাকবেন।