বর্তমানে প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই রেশন কার্ড (Ration Card) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক ডকুমেন্ট। রেশন কার্ড না থাকলে একাধিক সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন (Ration Card)। সরকার বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেশন কার্ডকে (Ration Card) একাধিক সরকারি স্কিম-এর আবেদনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করেছে।
তাই এই ডকুমেন্টের নতুন নিয়মাবলীগুলো জানতে হবে সবাইকেই (Ration Card)। সম্প্রতি রেশন কার্ডের (Ration Card) নিয়মে বিরাট বদল আনা হয়েছে। প্রত্যেক গ্রাহককে রেশন কার্ডের নতুন নিয়ম মানতে হবে (Ration Card)। রেশন কার্ডের গুরুত্ব আলাদা করে উল্লেখ করার নয় (Ration Card)। অতএব সরকারি নির্দেশ মানা প্রত্যেক নাগরিকের কাছেই প্রয়োজনীয় (Ration Card)।
Ration Card New Rules 2024
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা নতুন নয়। খাদ্য দপ্তরের দুর্নীতির খবর আগেই সামনে এসেছে (Ration Card)। এদিকে রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে রেশন (Ration Card) সংক্রান্ত দুর্নীতি আটকানোর। আর তাই জন্যই গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। এই নির্দেশ মূলত দুর্নীতি আটকানোর জন্যই। প্রত্যেক নাগরিক সচেতন ভাবে এবং দায়িত্বপূর্ণভাবে এই নির্দেশ মানবে বলে সরকারি তরফে আশা।
শুধু মাত্র সরকারি সুবিধা পাওয়া নয়, রেশন কার্ড বর্তমানে নাগরিকদের পরিচয়পত্র হিসেবেও কাজে লাগে। সেই রেশনের দুর্নীতি সমাজের সকল স্তরে প্রভাব ফেলছে (Ration Card)। রেশন কার্ড এই সমাজের সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক একটি নথি। রাজ্যবাসীর সুবিধার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই নতুন নিয়ম চালু করেছে। আশা করা যায় যে, এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ।
বাংলায় রেশন কার্ডের প্রকারভেদ
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ ধরনের রেশন কার্ড চালু রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে চালু রয়েছে পাঁচ ক্যাটাগরির রেশন কার্ড রয়েছে। প্রত্যেকটি ধরনের রেশন কার্ড থেকে আলাদা আলাদা সুবিধা পাওয়া যায়। যে যে ধরনের রেশন কার্ড আছে সেগুলি হল PHH, AAY, SPHH, RKSY1, এবং RKSY2। আমাদের সমাজে সকল স্তরের মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে এই সকল রেশন কার্ডগুলি। উল্লেখিত রেশন কার্ডের মধ্যে আপনার নামও যদি তালিকায় থাকে, তাহলে সরকারি সুবিধা পাবেন।
বাজার মূল্যের তুলনায় কম দামে খাদ্য সামগ্রী পাবেন। দরিদ্র মানুষের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করে। আর তুলনায় স্বচ্ছল ও মধ্যবিত্তদের জন্য দরিদ্র মানুষের অপেক্ষা কম, তবে সরকারি সুবিধা যথেষ্টই প্রদান করা হয়। আপনি কত পরিমান খাদ্য শস্য পাবেন, সেটাও নির্ভর করছে আপনি কোন ধরনের রেশন কার্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছেন তার ওপর।
গ্রাহকদের সুবিধা দিতে সরকারি পদক্ষেপ
জুলাই মাস পড়তে না পড়তেই খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে প্রতি রাজ্যবাসীর ফোনে শুরু হয়ে গিয়েছে মেসেজ পাঠানো। খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন রেশন কার্ডের ধরণ অনুযায়ী। প্রত্যেকটি কাজ চলছে নিয়ম মেনে। তবে এর মধ্যে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দুর্নীতি। রেশনের দুর্নীতির কারণে বহু সাধারণ মানুষ তাঁদের যে পরিমাণ রেশন পাওয়ার কথা সেই পরিমাণ রেশন পাচ্ছেন না।
তাছাড়া রেশন সংক্রান্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই দুর্নীতি ঠেকাতে রাজ্য সরকার নিল গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। ২০২৪ সালে রেশন কার্ড সংক্রান্ত এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। যদি আপনার কাছেও রেশন কার্ড থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে হবে।
রেশন কার্ডের নতুন নিয়ম মেনে গ্রাহকের নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে পাঠানো হচ্ছে মেসেজ। যেখানে রেশন কার্ড অনুযায়ী কোন গ্রাহক কতটা রেশন পাবেন, তা উল্লেখ করা থাকে। এই মেসেজ দেখে তারপর রেশন নিতে যাচ্ছেন গ্রাহক। এই মেসেজ সিস্টেম চালু হতে প্রত্যেকেই অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন।
২০২৪ সালে রেশন সংক্রান্ত নতুন নিয়ম
রেশনের দুর্নীতি আটকাতে খাদ্য দপ্তর এর তরফে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম চালু করেছে। যার মধ্যে প্রথমটি হলো- প্রত্যেক রেশন কার্ডধারীকে নিয়মিতভাবে তাঁদের রেশন কার্ড আপডেট করতে হবে। একই সাথে, রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। খাদ্য দপ্তরের তরফে আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এই নিয়মও মানতে হবে প্রত্যেক রেশন কার্ডধারীকে।
দ্বিতীয় নিয়মে বলা হয়েছে, প্রত্যেক গ্রাহকের রেশন কার্ড এবং আধার কার্ডের মধ্যে লিংক থাকতে হবে। এই দুটি নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে প্রত্যেক গ্রাহককে। আশা করা যায়, সকলে যদি সচেতন ভাবে নিয়ম গুলি মেনে চলেন, তাহলে অবশ্যই রেশন সংক্রান্ত দুর্নীতি আটকানো সম্ভব এবং উপকার পাওয়া সম্ভব প্রত্যেক পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের।