স্কুলের পরীক্ষার নিয়ম নিয়ে ফের বড়সড় সিদ্ধান্ত জানালো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (School Education)। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা সংক্রান্ত নতুন আপডেট সামনে এলো (School Education)। এই নতুন নিয়ম জানার পর বেশ চিন্তায় পড়লেন শিক্ষকরা (School Education)। এখন প্রশ্ন হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে কি জানানো হয়েছে? এই নতুন নিয়মের ফলে কতটা প্রভাবিত হবেন বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা? (School Education) মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন ঘোষণা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হলো। বঙ্গ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা হল। তাই সকলে অবশ্যই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ে নেবেন।
WB School Education New Update
বছরের শুরু থেকেই একের পর এক ছুটি। কিন্তু দেখতে দেখতেই কেটে গিয়েছে ছয়টি মাস। জুন পেরিয়ে জুলাই আর এবার আগস্ট মাস আসতে চলেছে। চলতি বছর তীব্র গরমের কারণে অনেক গুলি দিন ছুটি পান ছাত্র-ছাত্রীরা। বছরের শুরুর দিকে হয়ে গিয়েছে প্রথম সেমিটিভ পরীক্ষা (WB School Education)। আর এবার দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার সময় চলে এলো (School Education)। বছরের মাঝামাঝি সময় দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষায় বসেন পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা। দ্বিতীয় সেমেটিভ পরীক্ষা নিয়েই নতুন আপডেট জানিয়ে দিল শিক্ষা পর্ষদ। ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ পেয়ে এবার সেই মোতাবেক চলবে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলি।
পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা প্রধানত জুলাই মাসের শেষ থেকে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে আয়োজিত হয়ে থাকে। পুজোর আগে সেই পরীক্ষার রেজাল্ট ঘোষণা হয়। তারপর ফের পুজোর পর নভেম্বর মাস নাগাদ আয়োজিত হয় অ্যানুয়াল পরীক্ষা। বছর বছর এভাবেই পরীক্ষার আয়োজন চলছে বাংলায়। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা এই নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন।
দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষাটির নম্বর প্রসঙ্গে নতুন আপডেট দিল শিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবার জারি করা হয়েছে নতুন নিয়ম। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো সংশয় পড়েছেন বাংলার শিক্ষকরা। আর কিছুদিনের মধ্যেই আয়োজিত হবে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। আর তার আগেই ঘোষণাটি হলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে।
এসসি/এসটি পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ মেরিট স্কলারশিপ! প্রতিমাসে মিলবে ৮০০ টাকা! বিস্তারিত জানুন
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে কি বলা হয়েছে?
পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা ৫০ নম্বরে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুল স্তরের দ্বিতীয় সেমিটিভ পরীক্ষায় ৫০ নম্বরে নয় বরং ৩০ নম্বরে মূল্যায়ন হবে। এই প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায় ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত নম্বর ৫০ নম্বর হলেও বর্তমানে কিন্তু মূল্যায়নের নম্বর বদল নিয়ে আলাদা কোন নির্দেশিকা নেই। আর সেখান থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত, দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা ৫০ নয় বরং ৩০ নম্বরের ভিত্তিতে হবে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষার জন্য কোন পাঠকক্রমের পরিবর্তন হচ্ছে না। যে পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল পরীক্ষা তাতে হবে।
শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশের পর সমস্যায় শিক্ষকরা!
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকরা। তাঁরা বলছেন, শিক্ষা পর্ষদের উচিত ছিল আরো আগে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো। ইতোমধ্যে বাংলার অধিকাংশ স্কুলেই ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। আবার নতুন করে ৩০ নম্বরের মূল্যায়ন করতে রীতিমতো সমস্যা হবে। যার দরুন সমস্যায় প্রত্যেকটি স্কুল।
শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নতি বিবেচনা করা হবে!
এছাড়াও, শিক্ষা দপ্তরের নতুন নির্দেশ বলছে এই বছর থেকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর হলিস্টিক রিপোর্ট রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে পেশ হবে। এই রিপোর্টে শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক নম্বর নয় বরং সেই শিক্ষার্থী শ্রেণীতে সামগ্রিকভাবে কিরকম সার্বিক উন্নয়ন করেছেন সেই সমস্ত বিষয়ের নম্বর এবং তথ্য উল্লেখ করা থাকবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নতুন একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়।