Sovereign Gold Bond Scheme গরিবের কথা ভেবে কেন্দ্রের নয়া উদ্দ্যোগ এইবার সোনা কিনুন নাম মাত্র দামে।

Sovereign Gold Bond Scheme সম্পর্কে জানেন? সোনা পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমান সময়ের বাজার দরও অনুপাতে সোনার দাম এতটা বেশি যে সবার পক্ষে এই সোনা কেনা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তবে আমরা সকলেই সোনা কেনার ক্ষেত্রে খুবই আগ্রহী। এবার ভারতবর্ষের মানুষের জন্য কেন্দ্র সরকার এক বিশেষ ধরনের সোনা কেনার অফার দিয়েছে। এই সুযোগ হাতে রয়েছে ডিসেম্বর মাসের মাত্র পাঁচ দিন। চলুন এই বিষয়ে এবার বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

Sovereign Gold Bond Scheme

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে সোনা অত্যন্ত পছন্দের একটি দ্রব্য। সকল মানুষের স্বপ্ন থাকে সোনার গহনা পড়ার কিন্তু বর্তমান সময়ে সোনার এত দাম যে কারণে সোনা কেনা বহু মানুষেরই সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই সমস্ত মানুষের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য কেন্দ্র সরকার এক অভিনব প্রকল্পের সূচনা করেছে। এই প্রকল্পটির নাম সার্বভৌম গোল্ড বন্ড (Sovereign Gold Bond Scheme)।

সার্বভৌম গোল্ড বন্ড (Sovereign Gold Bond Scheme) নামে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষরা শুধু সোনা কিনতে পারবে এমন নয়। যারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সোনা কিনবে তারা আবার এর উপর সুদও পাবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি চার কেজি পর্যন্ত সোনা কিনতে পারে। আর কোনো ট্রাস্ট এর মাধ্যমে সোনা কেনার পরিমাণ সর্বাধিক হল কুড়ি কেজি পর্যন্ত।

গ্রাহকের মুখে হাসি ফোটাতে সুদ বারাল পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। কত টাকা পাবেন?

রিজার্ভ বাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০১৫ সালে সার্বভৌম গোল্ড (Sovereign Gold Bond Scheme) বন্ড নামে এই প্রকল্পের শুভ সূচনা করে। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে অর্জন করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সস্তায় সোনা কেনা যায় তার সাথে সুদও পাওয়া যায় মূলত এই কারণেই ভারতবর্ষের মানুষজন এই প্রকল্পটিকে বেশি পছন্দ করে।

সারা বছর এই প্রকল্পে টাকা জমা দেয়া যায় না বছরে বিশেষ কয়েকটি দিনে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যায়। ২০২২-২৩ এর আর্থিক বছরে জন্য রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তৃতীয় কিস্তির দিন হিসাবে নির্ধারণ করেছেন ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর। চতুর্থ কিস্তি দেওয়া যাবে ২০২৪ সালের ১২ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি। বাজার থেকে অনেকটাই সস্তায় এই সোনা কিনতে পারা যায় বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় কিস্তির সময় ৫৯২৩ টাকা প্রতি গ্রাম দরে সোনা পাওয়া গিয়েছিল। এই সোনা কিন্তু ২৪ ক্যারেট সোনার অনুরূপ। কিন্তু সরকার ভারতবাসীদের যে সোনা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেই সোনা কিন্তু গহনা সোনা নয়, এটি ডিজিটাল সোনা। এই সোনায় বিনিয়োগ করার সময় বিনিয়োগকারীদের একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

দ্রুত টাকা বাড়াতে হলে এবং অবসর বয়সে নিশ্চিন্তে কাটাতে হলে এই নিয়মে টাকা সঞ্চয় করুন।

সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকে কত গ্রাম দরে সোনাটি কেনা হল এবং এটিতে কত গ্রাম সোনা রয়েছে।সাধারণ মানুষ এই সার্টিফিকেটটি ভাঙ্গিয়ে কখনো গহনা সোনাও কিনতে পারবে আবার হঠাৎ যদি তাদের অর্থের প্রয়োজন হয় তাহলে ২.৫% সুদের হারে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। আবার আট বছর বিনিয়োগ করলে ১২.৯% রিটার্ন পেতে পারা যায়।