বছর ফুরিয়ে এল দেখতে দেখতে। চলছে নভেম্বর মাস। সেই সঙ্গে কিন্তু Life Certificate জমা দেওয়ার মেয়াদও প্রায় শেষের মুখে এই বছরের মতো। যে কোনও কাজের দিনে ব্যাঙ্ক বা পেনশন বিতরণকারী কর্তৃপক্ষের ঠিকানায় সারা নভেম্বর মাস জুড়েই উপস্থিত হয়ে জমা করা যায় Life Certificate. কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতিরক্ষা কর্মীদের পেনশন সহ দেশে প্রায় 70 লক্ষ পেনশনভোগী রয়েছেন। এই পেনশনভোগীরা পেনশন বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ যেমন ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য পেনশন পান৷ পেনশনভোগীরা প্রতি বছর নভেম্বর মাসে এই PDA-কে ব্যক্তিগতভাবে জীবন প্রমাণ পত্র জমা দিতে হয়৷
Life Certificate সময়ে জমা দেননি? কী করতে হবে এইবার?
এবার প্রশ্ন হলো কেউ যদি গিয়ে উঠতে না পারেন? অন্য শহর কিংবা দেশে বসবাসের কারণে বা শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে? সেক্ষেত্রে পেনশন কি বন্ধ হয়ে যাবে Life Certificate জমা না পড়লে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর বা তার পরবর্তী বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যেও পেনশনভোগী যদি লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে না পারেন, তাহলে পেনশন বন্ধ করে দেবে ব্যাঙ্ক। এক্ষেত্রে মন্ত্রক ব্যাঙ্ককে পেনশনভোগীর পিপিও-র টাকা স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছে সিপিএও-তে।
সুতরাং, খুব সহজেই বোঝা গেলো Life Certificate জমা না পড়লে বন্ধ হয়ে যাবে পেনশন। তবে, নভেম্বরেই কেউ যদি তা করে উঠতে না পারেন, সেক্ষেত্রে কোনও কারণ নেই চিন্তার। মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সময় থাকছে হাতে। পরের বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাবেন সময়। যদি লাইফ সার্টিফিকেট তার পরেও জমা না দেওয়া হয়, তখনই বন্ধ করে দেওয়া হবে পেনশন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিরাট খবর! বাড়িয়ে দেওয়া হলো রেজিস্ট্রেশনের দিন। পিছবে পরীক্ষা?
এবার আপনি যদি পরের বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যেও লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করেন এবং পরবর্তীতে নিয়ম অনুসারে স্বাভাবিক ভাবেই পেনশন বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কী করবেন? এক্ষেত্রেও কোনও কারণ নেই উদ্বেগের। কারণ, পেনশন ব্যক্তির ন্যায্য প্রাপ্য। যদি লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার ব্যাপারে সমস্যা হয়, তাহলে সবার প্রথমে ব্যাঙ্কে একটা খবর দিয়ে রাখা উচিত দেরি না করে। এরপর, যত শীঘ্র সম্ভব পরের ধাপে জমা করে আসতে হবে লাইফ সার্টিফিকেট।
যদি পেনশন বিতরণকারী বা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে অসুবিধা থাকে, তাহলে তা জমা করা যায় অনলাইনে জীবন প্রমাণ পোর্টালের মাধ্যমে। Digital Life Certificate পেনশনভোগীদের অর্থ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে শারীরিকভাবে না গিয়ে তাদের অস্তিত্ব প্রমাণের একটি সুবিধাজনক উপায়। 2014 সালের নভেম্বরে সরকার এই পরিষেবাটি আধার-সক্ষম বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের উপর নির্ভর করে তৈরি করে।
পেনশন গ্রাহকদের সুখবর। লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত।
যা এখন পেনশনহোল্ডারদের ডিজিটালি জীবন প্রমাণপত্র তৈরি করতে দেয়। যদি কেউ তাতেও স্বচ্ছন্দ না হন, তাহলে ব্যাঙ্কে খবর দিয়ে রাখুন। গ্রাহকের গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ককর্মী বাড়ি এসে লাইফ সার্টিফিকেটের ফর্মে ব্যক্তির সই বা টিপ ছাপ নিয়ে যাবেন। এই ব্যাপারে ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে।