রাজ্যের সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! মেধাবী এবং দারিদ্র পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করে থাকে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ হল পশ্চিমবঙ্গে তার মধ্যে একটি অন্যতম স্কলারশিপ। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাহায্য প্রদান করাই হলোএই স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হল। এই স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের জন্য অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কিন্তু এবার ইঞ্জিনিয়ারিং, পলিটেকনিক, কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং মেডিকেল পড়ুয়াদের জন্য শুরু হলো Swami Vivekananda Scholarship এ আবেদন প্রক্রিয়া।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে জুড়ল নতুন নিয়ম।
এবার বড়সড়ো বদল ঘটেছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদন প্রক্রিয়ায়। আবেদনের নতুন পদ্ধতি সহ সম্পূর্ণ আবেদন পদ্ধতি এবং কি কি নথিপত্র প্রয়োজন? সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন বিস্তারিত জানার জন্য। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে যেসকল পড়ুয়া ৬০% নম্বরসহ কলেজে স্নাতক কোর্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে সেই সকল পড়ুয়া সবাই আবেদন করতে পারবে।
এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে পলিটেকনিক, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল কোর্সে যেসকল পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে সকলের জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের (Swami Vivekananda Scholarship) আবেদন প্রক্রিয়া। এরই সঙ্গে রেনুয়াল প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে। তাই পূর্ববর্তী ক্লাসে যেসকল পড়ুয়া, ৬০% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা সকলে আবেদন করতে পারবে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আবেদন করতে হবে, কী কী যোগ্যতা থাকা চাই এবং কী কী নথিপত্র দরকার!
Swami Vivekananda Scholarship এ আবেদনের যোগ্যতা:
1. আবেদনের ক্ষেত্রে ছাত্র বা ছাত্রীকে পূর্ববর্তী বছরের শ্রেণীতে নূন্যতম ৬০% নম্বর সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।
2. পড়ুয়াকে রাজ্যের স্বীকৃত যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠরত হতে হবে।
3. এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
4. পড়ুয়ার পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
আবেদনের ক্ষেত্রে কী কী নথিপত্র প্রয়োজন:
1. অনলাইনে ভর্তির প্রাপ্তি
2. সর্বশেষ যোগ্যতা পরীক্ষার মার্কশিট (উভয় পক্ষ)
3. ব্যাংক পাস বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠা
4. Income Certificate
5. মাধ্যমিক পরীক্ষার Admit Card
6. Domicile Certificate(রেশন কার্ড / ভোটার আইডি / আধার কার্ড ইত্যাদি)
7. সর্বশেষ যোগ্যতা পরীক্ষার Admit Card
36 হাজার টাকা করে পেতে চলেছে ছাত্রছাত্রীরা! কারা কারা আবেদন করতে পারবে দেখে নিন।
কীভাবে আবেদন করবেন অনলাইনে:
1. প্রথমে আপনাকে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
2. তারপরে ‘ Registration‘ এ ক্লিক করুন।
3. এরপর ‘Apply for Fresh Application’ বোতামে ক্লিক করুন।
4. আপনাকে নিজের Name, Email, Phone Number, Date of Birth, ইত্যাদি সরবরাহ করে এই বৃত্তি অ্যাপ্লিকেশন পোর্টালে নিজেকে Registration নিবন্ধন করতে হবে। এই সময় আবেদনকারীকে একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে, যেটা পরবর্তীকালে লগ ইন করার সময় কাজে লাগবে।
5. সফল registration পরে, আবেদনকারী একটি ‘Application ID পাবেন। যার সাহায্যে তিনি অনলাইনে লগইন করতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশন আইডি অবশ্যই পরবর্তী ব্যবহারের জন্য লিখতে হবে।
6. এরপর আবেদনকারীকে Application ID এবং Password দিয়ে লগ ইন করতে হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ড্যাশবোর্ডে ‘Edit Profile / Application’ বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।
7. এখন অনলাইনে আবেদন ফরম সঠিকভাবে সব তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং আবেদনকারীর স্ক্যান করা ছবি ও স্বাক্ষর ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। তারপর ‘Save & Next’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী অংশে যান।
8. এরপর আবেদনকারীকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
পিছিয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক পরীক্ষা! টেস্ট পরীক্ষার মধ্যেই বড় খবর।
9. এখন আবেদনকারীর দেওয়া সমস্ত তথ্য অনলাইনে সেভ হয়ে গেছে। এই সমস্ত তথ্য আর একবার ভালো করে দেখে নিয়ে ‘Finalize Application‘ অপশনে ক্লিক করতে হবে। বলে রাখি, আবেদনকারী এই অপশনে ক্লিক করার পর edit করতে পারবে না আর কোনো তথ্য। (Swami Vivekananda Scholarship)