TET Recruitment Scam – নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় নির্দেশ! 10 দিনের মধ্যে 42 হাজার শিক্ষকের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (TET Recruitment Scam) মামলা নিয়ে বড়সড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। গতকাল ২০১৬ সালের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ৪২ হাজারের বেশি জন শিক্ষকের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে। ২০২৪ সালের টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল।

TET Recruitment Scam

তবে এই নিয়োগ হয়েছিল বেআইনি ভাবে। অনেক ভুয়ো প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে। অথচ যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছে মেরিট লিস্ট থেকে। টেট পরীক্ষার প্যানেল প্রকাশের দাবি জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মৌটুসী রায় সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী। তাদের অভিযোগ যোগ্যতা সত্ত্বেও, মেধা তালিকায় তাদের নাম ওঠেনি।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে চলা নিয়োগ দুর্নীতি (TET Recruitment Scam) মামলা নিয়ে এর আগে একাধিকবার শুনানি হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ২০১৬ সালের মামলার শুনানি ছিল। এ বছরের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে গোলমাল রয়েছে। সমস্ত দুর্নীতি লুকিয়ে এই প্যানেলের মধ্যে। এর আগেও পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হলে, পর্ষদ তা করেনি।

এবারে আরো একবার পর্ষদের থেকে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষকের প্যানেল প্রকাশের কথা বলা হয়েছে। এদিনের শুনানিতে জাস্টিস গাঙ্গুলি নির্দেশ দেন, ৪২,৯৪৯ জন শিক্ষকের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে পর্ষদকে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে জাস্টিস গাঙ্গুলির বেঞ্চ।

এদিনের শুনানিতে আরো বলা হয় যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্যানেল (TET Recruitment Scam) জমা না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে প্যানেলের হার্ড কপি ও সফ্ট কপি বিচারপতি গাঙ্গুলির বেঞ্চে জমা করতে হবে। উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে প্রায় ৪২ হাজারের বেশি শিক্ষককে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে এই নিয়োগ করানো হয়েছিল।

ফের UIDAI জারী করল নয়া হুকুম! এই তথ্য জরুরী নয় আধার কার্ডে, করতে হবে আপডেট?

তবে মামলাকারীদের অভিযোগ ৮০০ জন শিক্ষককে বেআইনী পথে চাকরি করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯৮ জন শিক্ষকের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। যারা প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি করে চলেছেন। তাদের নাম ২০১৬ সালে প্রকাশিত প্যানেলে নেই। সেই কারণেই হয়তো বার বার প্যানেল প্রকাশ করতে পিছপা হচ্ছে পর্ষদ।

এর আগে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে পর্ষদের বক্তব্য ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল, অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। (TET Recruitment Scam) এই মুহূর্তে ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই মর্মে বিচারপতি সিনহার শুনানিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে পর্ষদ।

নতুন বছরে অবশেষে এক দফায় বাড়ল ডিএ! বাংলার সরকারি কর্মীরা কত টাকা পাবে?

এরপর বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ বিচারপতি সিনহার এই রায়কে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে আবার বিচারপতি গাঙ্গুলি প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদকে। এই কারনে কিছুটা ধন্দে পড়েছে দুই পক্ষের আইনজীবী। আগামী ১৫ই জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে পর্ষদ প্যানেল প্রকাশ করে কিনা সেটাই দেখার।