কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট। এই দুই বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা এবার উচ্চশিক্ষার পথে অগ্রসর হবেন (WB College Admission)। মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছেন, অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন জমা করা শুরু করেছেন (WB College Admission)।
এখন কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে বেশ কিছু নিয়ম-কানুন জেনে নিতে হবে (WB College Admission)। কারণ বাংলায় কলেজে ভর্তি হওয়ার নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। আপনিও যদি একজন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ পড়ুয়া হয়ে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদন আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ (WB College Admission)। কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে সমস্ত নিয়মকানুন সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিতে হবে (WB College Admission)। তাহলে চলুন দেরি না করে চটপট পড়ে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।
WB College Admission 2024
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি গণ্ডি। এই গণ্ডি পেরোলেই উচ্চশিক্ষার পথে অগ্রসর। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই কলেজের পড়াশোনা শুরু হয়ে যায়। আর স্কুল থেকে কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়াটি খুব একটা সহজ নয় বরং জটিল (WB College Admission)।
পশ্চিমবঙ্গের হাজারো কলেজের মধ্যে থেকে পছন্দসই কলেজ বেছে সেই কলেজে অ্যাডমিশন নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অবশ্যই অনেক মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। কলেজের ফর্ম ফিল আপ করতে হবে নির্ভুলভাবে নিজের সমস্ত তথ্য দিয়ে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা করতে হবে।
আর এই প্রক্রিয়াটির কিছু নিয়মের বদল থাকতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের সেই নিয়মগুলি জেনে তবেই সেই কলেজের অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করতে হবে। তাই আজকের এই প্রতিবেদন আপনাদের সবার জন্যই প্রয়োজনীয় হতে চলেছে। আশা করছি আপনারা অনেক দরকারী তথ্য এখান থেকে পেয়ে যাবেন।
WB College Admission 2024 Update
গত রবিবার মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলেজে এডমিশন শুরু হয়েছে। বলাই বাহুল্য পশ্চিমবঙ্গে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নিয়েছে এই বছর থেকে। এই কলেজগুলি তাঁদের প্রথাগত পদ্ধতি থেকে সরে এসে যেখানে প্রার্থীরা প্রতিটি কলেজে আলাদাভাবে আবেদন সাবমিট করেছিলেন, চলতি বছর থেকে এটি একটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে কেন্দ্রীভূত ভর্তি পোর্টালের মাধ্যমে এক ঐক্যবদ্ধ পদ্ধতির প্রবর্তন করেছে বলেই দেখা যাচ্ছে।
যে পোর্টালটির কথা বলা হয়, সেই পোর্টাল ছাত্র-ছাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সমস্ত নামকরা কলেজের অপশন তুলে ধরে। ছাত্রছাত্রীরা সংশ্লিষ্ট পোর্টাল মারফত কলেজের আবেদন জমা করতে পারেন। নতুন পদ্ধতিটি চালু হওয়ার পর থেকে উপকার পেয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। অনেক কম সময়ে অনেক কলেজে অ্যাপ্লিকেশন জমা করা যাচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি সহজতর হয়েছে।
কলেজে ভর্তি হওয়ার নতুন নিয়মটি কী?
পশ্চিমবঙ্গের কলেজের এডমিশনের ক্ষেত্রে পুরনো পদ্ধতি বর্জন করা হয়েছে। তার বদলে একেবারে নতুন পদ্ধতিতে অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া চলছে। আগে কলেজের অ্যাডমিশনের জন্য আলাদা আলাদা কলেজের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে সেখানে গিয়ে আবেদনপত্র ফিলাপ করে জমা দিতে হতো।
কিন্তু এখন সেই প্রক্রিয়া বদলে একটি পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন জমা করা সম্ভব হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা খুব সহজেই এখান থেকে কলেজ নির্বাচন করতে পারছেন। ঐচ্ছিক বিষয় বেছে নিতে পারছেন ও সর্বোপরি একটি জায়গা থেকেই আবেদন করা সম্ভব হচ্ছে। এতে যেমন একদিকে সময় বাঁচছে। ঠিক তেমন ভাবে, ছাত্র-ছাত্রীদের ফর্ম ফিলাপে জটিলতা কমেছে।
কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কোন কোন নথি লাগছে?
কলেজের অ্যাপ্লিকেশন করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথি লাগে। আবেদনকারী প্রার্থীর বিশদ তথ্য যাচাই করার জন্য, আবেদনকারীর যোগ্যতা যাচাই করার জন্য এই ডকুমেন্টগুলি লাগবে। তাহলে এপ্লিকেশন করার জন্য কোন কোন নথি লাগবে? আসুন সেই তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
- মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
- মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট/শংসাপত্র
- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট,
- পরিচয়পত্র বা ফটো আইডি হিসেবে প্রয়োজন হবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড
- এছাড়া লাগবে ব্যাঙ্কের পাসবুক আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট।
কলেজের অ্যাপ্লিকেশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য
আবেদনের সময়সীমা
ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কলেজ এডমিশনের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে ২৪ জুন থেকে। এটি শেষ হবে আগামী ৭ জুলাই তারিখে। প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে প্রযুক্তিগত সমস্যা এড়াতে অবশ্যই সময়ের মধ্যে নিজেদের আবেদন জমা করবেন।
আবেদনের প্ল্যাটফর্ম
যে সকল ছাত্র-ছাত্রী কলেজের এডমিশনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন করছেন তাঁদের একাধিক পোর্টালে যেতে হবে না, তার বদলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ‘বেঙ্গল হায়ার এডুকেশন’-এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের আবেদন জমা দিতে পারেন।
কলেজ বাছাইকরণ
সবমিলিয়ে মোট 461টি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছে। আবেদনকারীরা তাদের পছন্দ অনুসারে এবং নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে সব মিলিয়ে মোট ২৫টি কলেজে অ্যাপ্লিকেশন জমা দিতে পারবেন।
আবেদন ফি
কলেজে ভর্তি হওয়ার এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন আবেদন ফি জমা দিতে হবে না। বরং তাঁরা বিনামূল্যে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবেন।