D.El.Ed Admission 2024: ডিএলএড কোর্স নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত। চাকরি পাওয়া আরও সহজ হলো। নতুন আপডেটটি জেনে নিন

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হলো ডিএলএড (D.El.Ed)। মূলত প্রাইমারি স্কুলে পড়ানোর জন্য ডিএলএড (D.El.Ed) কোর্সে ডিগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই কোর্সের (D.El.Ed) জন্য আবেদন জমা করেন। এই কোর্সের পাঠ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে অগ্রসর হন তাঁরা।

ডিএলএড (D.El.Ed) কোর্স নিয়ে এর আগেও নানান পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ, জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। এবার নতুন করে আবার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ডিএলএড কোর্সে (D.El.Ed) আবেদনকারীদের জন্য এটি একটি বড় খবর হতে চলেছে। আগ্রহীরা আজকের প্রতিবেদন পড়ে নিন। আপনাদের জন্য নতুন আপডেট দেওয়া হলো।

D.El.Ed Course Admission 2024

রাজ্যের প্রাইমারি স্কুলগুলিতে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য বর্তমানে ডিএলএড (D.El.Ed) ডিগ্রী থাকা বাধ্যতামূলক। কলকাতা হাইকোর্টের অর্ডারের পর চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই কোর্সের পাঠ নেওয়া আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই প্রতিবছর ডিএলএড (D.El.Ed) কোর্সের ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আবেদনকারীরা প্রতিবছর এডমিশনের সময়ের অপেক্ষায় থাকেন।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নতুন করে কোন নিয়ম জারি করল নাকি, সেদিকে নজর থাকে সবার। আর সে কারণে পর্ষদের নতুন সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নতুন করে আবেদনকারীদের কি জানিয়েছে পর্ষদ? এই বছর ডিএলএড (D.El.Ed) কোর্সে ভর্তি হওয়ার আগেই পর্ষদের নতুন সিদ্ধান্ত জেনে নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সম্প্রতি একটি নোটিশ জারি করেছে। আর সেই নোটিশে আবেদনকারীদের জন্য নতুন আপডেটটি তুলে ধরা হয়েছে।

Government Scheme 2024: বিরাট খবর! সবাইকে 12,000 টাকা করে দিচ্ছে কেন্দ্র। কোন প্রকল্প? তোলপাড় চারিদিক

ডি.এল.এড কোর্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত!

শিক্ষকতার পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চান এমন চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গে নেহাত কম নয়। বরং স্কুল স্তর থেকেই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে চাকরির সুযোগ নিয়ে সবার মনে একটা অসন্তোষ। সকলেই চাইছেন যে সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে, কিন্তু পরিস্থিতির প্রকোপ এতটাই যে ক্রমে ভরসা হারাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

কিন্তু তবু স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকলেই কোথাও না কোথাও থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর সেই প্রস্তুতিস্বরূপ বলা যায়, রাজ্যের ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আবেদনকারীদের জেনে নিতে হবে এই বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কি বলছে। সূত্রের খবর, কোর্সের আবেদনকারীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে নতুন একটি সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পর্ষদ। আর সেই সিদ্ধান্ত এই পরিস্থিতির সাপেক্ষে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তির সময়সীমা বাড়লো!

পশ্চিমবঙ্গে ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যারা প্রাথমিকের শিক্ষক হতে চান তাঁরা অবশ্যই এই নতুন আপডেট জেনে নিন। ডি.এল.এড কোর্স এর জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ালো পর্ষদ। আপনিও যদি এই কোর্সে চলতি বছর ভর্তি হতে চান, তাহলে আপনার হাতে আরও কিছুদিনের আবেদন সময়সীমা রয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষক হতে যাওয়া প্রার্থীরা জুলাই মাস পর্যন্ত আবেদন জমা করতে পারবেন। আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত নেওয়া হবে ডি.এল.এড কোর্সের‌ আবেদন। এর আগেও একবার ডি.এল.এড কোর্সের আবেদনের সময় বাড়িয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য আবেদনের সময় বর্ধিত করা হলো। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর মিলছে, বিশেষ কারণে আবেদনের সময় সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

WB College Admission 2024: পশ্চিমবঙ্গের কলেজে ভর্তির নতুন নিয়ম। কিভাবে অ্যাপ্লিকেশন করবেন? শিক্ষার্থীদের জন্য দরকারি আপডেট

কেন হঠাৎ করে আবেদনের সময় বাড়ানো হলো?

প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।পর্ষদের আশা ছিল অতীতের মতো বর্তমান বছরে অনেক বেশি প্রার্থীর সাড়া মিলবে। ‌কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল তার উল্টো। বরং ডি.এল.এড কোর্সে আবেদনের সাড়া তুলনামূলকভাবে কম। যার কারনে বেশ হতাশ হয়ে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ‌আরো বেশি সংখ্যক প্রার্থী যাতে কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তার জন্য আবেদনের সময়সীমাকে বর্ধিত করা হয়েছে। এই বিষয়ে পর্ষদ সূত্রে খবর, আশাব্যঞ্জক সাড়া না মেলায় বাধ্য হয়ে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হলো।

ডি.এল.এড কোর্সের প্রতি আস্থা কমছে?

একটি পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে রাজ্যের ডি.এল.এড কোর্স পাস করে ৬০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী অপেক্ষারত অবস্থায় বসে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রাইমারি টেট পাস করে বসে রয়েছেন ৪০ হাজারের কাছাকাছি প্রার্থী। নতুন করে যারা ডি.এল.এড কোর্স সম্পন্ন করবেন তাঁদের আগের থেকে বসে থাকা প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। হাজার হাজার প্রার্থীর সঙ্গে এহেন প্রতিযোগিতা নেহাত সহজ নয়। ‌

আর সেই কারণেই ডি.এল.এড কোর্স করার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন প্রার্থীরা। আর সেই কারণেই হয়তো কমে যাচ্ছে এই কোর্সে আবেদনের সংখ্যা। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে, ডি.এল.এড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় ছয়শোর বেশি। যার মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় রয়েছে।এই কোর্সের জন্য আসন রয়েছে ৪৪ হাজার। কিন্তু এত সংখ্যক আসন আদৌ পূর্ণ হবে নাকি তাই নিয়ে ধন্দে ভুগছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।