পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমাজের সকল স্তরের মানুষ দের জন্য বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু সরকারি স্কিম চালু করেছে (WB Government Scheme)। বিভিন্ন সময়ে মমতা সরকার রাজ্যের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সামাল দিতেও নানান ধরনের প্রকল্পের সূচনা করেন (WB Government Scheme)। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী জনসাধারণ যাতে সমস্যা ছাড়া সুখে জীবন যাপন করতে পারে, তার জন্য এই সকল প্রকল্পের ভূমিকা নিঃসন্দেহে অপরিসীম। (WB Government Scheme)।
সরকারি সাহায্য পেয়ে সমাজের মূল স্রোতে এসেছেন বাংলার বহু সাধারণ মানুষ (WB Government Scheme)। সম্প্রতি সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। (WB Government Scheme) বিশেষ করে হকারদের সাহায্যার্থে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে বলে খবর (WB Government Scheme)। আজকের প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব সরকারের নতুন এই প্রকল্প সম্পর্কে। আশা করছি বাংলার মানুষ এই খবরে অবশ্যই উপকৃত হবেন। তাহলে আর দেরি না করে পড়ে নেওয়া যাক প্রতিবেদনটি।
WB Government Scheme 2024
রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সারা দেশে জনপ্রিয়। ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়েছে বাংলার কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী, যুবশ্রী, প্রকল্পের খ্যাতি (WB Government Scheme)। যদিও লোকসভা নির্বাচনের পর বর্তমানে একটি বিশেষ ইস্যুতে সারা রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে। সেই বিশেষ ইস্যু হলো হকার উচ্ছেদ।
বাংলায় হাজার হাজার হকাররা বর্তমানে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তায়। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার হকারদের কথা ভেবেই নতুন প্রকল্প হাজির করছেন। প্রকল্পে কি সুবিধা মিলবে? স্কিমের আবেদন যোগ্যতা কি? কিভাবে আবেদন জানাতে হবে এই প্রকল্পে? রইল সমস্ত তথ্য আপনাদের স্বার্থে। (WB Government Scheme)।
রাজ্য এখন উত্তাল হকার (Hawkers) উচ্ছেদ নিয়ে। কিছুদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার পর গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয় হকার উচ্ছেদ। তবে বৃহস্পতিবার সরকারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আন্দোলন চালান হকাররা। হকারদের আন্দোলনে রীতিমত সরগরম হয়ে ওঠে বাংলা। আন্দোলনের তীব্রতা দেখে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশ দেন এখনই উচ্ছেদ নয়, বরং উচ্ছেদ থেকে সরে এসে আরও একমাস সময় দেওয়া হোক। বাংলায় হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত হয়।
হকারদার জন্য রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ
অনেকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে যে হকাররা শহরের অধিকাংশ রাস্তা ব্লক করে বসে রয়েছে। যার জন্য অসুবিধা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বহু মানুষের এটাই বক্তব্য যে, হকারদের জন্য দৈনন্দিন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। দুদিকে হকারদের অবস্থানের কারণে, রাস্তা ছোট হয়ে যাচ্ছে। যার জন্য যান চলাচল-সহ হাঁটাচলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। আর উৎসব অনুষ্ঠানের সময় সেই সমস্যা আরো বাড়ছে।
কারণ শহরের পথে মানুষের ঢল এদিকে, হকারদের অবস্থানের কারণে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়া, সবমিলিয়ে বাংলার মানুষ নাকি বেশ কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন। এদিকে, হকাররা বলছেন তাদের রুজি রোজগার বলতে শহরের ফুটপাথে জিনিস বিক্রয়। হঠাৎ তাঁদের উচ্ছেদ করা হলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তাঁরা?সরকারের দিকে চেয়ে রয়েছেন হকারির সঙ্গে যুক্ত থাকা এই রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ।
সরকার কি কোন নতুন সিদ্ধান্ত নেবে? পাশে এসে দাঁড়াবে বাংলার দিন-দরিদ্র মানুষ গুলোর? নাকি আরো কঠোর হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার? হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি নিয়ে বাংলার সর্বস্তরে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন মহলে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত। এমন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
হকারদের জন্য রাজ্য সরকারের প্রকল্প
হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি নিয়ে তোলপাড় হওয়ার মাঝেই একটি প্রকল্প আলোচনায় উঠে এসেছে। এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হকারদের (Hawkers Scheme West Bengal) জন্য চালু করা হয়েছিল। যে প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করা হকারদের দেওয়া হতো ৮০ হাজার টাকা। প্রকল্পের সুবিধা পেতেন পৌরসভা এলাকায় বসবাসরত হকাররা। এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি গ্রাম এলাকার বাসিন্দা হয়ে পৌরসভা এলাকায় হকারি করেন, তবে তাঁকেও এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়।
গত বছরের নিয়ম বলছে, এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য পৌরসভায় গিয়ে আবেদন জানাতে হত। এই প্রকল্পের মূল সুবিধা হল হকাররা ৮০ হাজার টাকা ঋণ হিসেবে পেয়ে থাকেন। যদিও প্রকল্পের পুরো টাকা দেওয়া হয় মোট তিন দফায়। প্রথমে দেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা, সেই টাকা শোধ করতে পারলে পাওয়া যায় আরও ২০ হাজার টাকা। আর এই ২০ হাজার টাকা শোধ করার জন্য দেওয়া হয় এক বছর সময়।
যদি কোন ব্যক্তি সেই টাকা শোধ করতে পারেন তাহলে ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য যোগ্য হন তিনি। তখন সেই ব্যক্তিকে আরো ৫০০০০ টাকার অর্থ সাহায্য করা হয়। ২০২৩ সালে দুর্গাপূজোর আগে হকারদের জন্য এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলার হাজার হাজার হকার প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন।
গত বছরে চালু হওয়া প্রকল্পটির সাহায্য পাওয়ার জন্য এখনো সময় পাবেন হকাররা। তবে বর্তমানে দাঁড়িয়ে বাংলার হকারদের একটাই আশা এবারেও হয়তো মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য নতুন স্কিমের ঘোষণা করবেন। অথবা তাঁদের সাহায্য করার জন্য নতুন কোন সিদ্ধান্ত জানাবেন।