রাজ্যবাসীর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্প চালু করেছেন গত কয়েক বছরে (WB Government Scheme)। লক্ষ্মীর ভান্ডার, ভাগ্যশ্রী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি (WB Government Scheme) প্রায় সকল রাজ্যবাসী জানেন। প্রতিবছর এই সকল প্রকল্পে ভুরি ভুরি আবেদন জমা পড়ে। বাংলার মানুষজন সরকারি স্কিমগুলির দ্বারা বরাবরই উপকৃত হন ( WB Government Scheme)।
এদিকে, বিগত কয়েক মাস ধরে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গ ব্যস্ত ছিল ভোটযুদ্ধ নিয়ে। গত ৪ তারিখ ভোটের রেজাল্ট বেরোতে দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে ভোট পরিস্থিতি মিটেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য বাসীর কল্যাণে পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার প্রত্যেকের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠাচ্ছে (Government Scheme)। আপনিও বুঝি পেলেন সরকারের ১০ হাজার টাকা?
West Bengal Government Scheme 2024
রাজ্য সরকারের অনেক প্রকল্পের বিষয় সাধারণ মানুষ জানেন না। প্রচারের আলোর অভাবে সেই সকল প্রকল্পগুলি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই সকল প্রকল্পগুলির দ্বারা আপনিও হাজার হাজার টাকা সাহায্য পেতে পারেন। সরাসরি সরকারের তরফে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে চলে আসবে প্রকল্পের অর্থ।
আর সেটা একবার নয়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের হাত ধরে বছর বছর সাহায্য পাবেন রাজ্যবাসী। এই সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে আপনারও ধারণা থাকা দরকার। আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের একটি দুর্দান্ত প্রকল্প সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব। এই প্রকল্প ভোট মিটতেই রাজ্যবাসী অ্যাকাউন্টে কড়কড়ে দশ হাজার টাকা পাঠাচ্ছে। আপনিও যদি রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের সহায়তা পেতে চান, তবে অবশ্যই সম্পূর্ণ প্রতিবেদন মন দিয়ে পড়ুন।
Krishak Bondhu Prakalpa 2024
পশ্চিমবঙ্গ শস্য শ্যামলা একটি রাজ্য। এই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। চাষবাস করে তাঁরা জীবিকা অর্জন করেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃষি এখনো শ্রমনির্ভর হওয়ায় আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা উন্নত কৃষি পদ্ধতির অভাব, বাজারে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারণে কৃষকদের অবস্থার উন্নতি হয় না।
তাই কৃষকদের জন্য আলাদা করে ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের তরফে অন্নদাতাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান যোজনা বা (PM Kisan) প্রকল্প চালু রয়েছে। বাংলায় কৃষকদের জন্য চালু রয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prokolpo)। পশ্চিমবঙ্গের কৃষকেরা এই প্রকল্পের সহায়তায় আর্থিক সাহায্য পান। সরকার তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রকল্পের দ্বারা বহু কৃষক উপকৃত হবেন। আপনিও খুব সহজে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।
‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের সুবিধাগুলি কি কি?
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের সরকারি অনুদান আর জীবনবীমার সহায়তা প্রদান করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বঙ্গ কৃষকদের 2 লক্ষ টাকা জীবনবীমা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি খারিফ ও রবি শস্য চাষের আগে দুটি কিস্তিতে কৃষকেরা দশ হাজার টাকার সাহায্য পান।
এই অনুদান পেতে কৃষকদের সঠিকভাবে আবেদন জমা করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এই প্রকল্পে জীবন বীমা দেওয়া হয় ২ লক্ষ টাকার। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর কৃষকের যদি মৃত্যু হয়, তবে বিমার টাকা পায় তাঁর পরিবার। দেওয়া হয় ক্রপ কভার ইন্সিওরেন্স। সুবিধা ভোগীরা ফসল বীমার জন্য প্রিমিয়ামও পান।
‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আবেদন যোগ্যতা
রাজ্য সরকারের ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের সহায়তা পেতে কোন কোন কৃষক আবেদন জানাতে পারেন? তার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম জারি করেছে রাজ্য সরকার। আসুন প্রকল্পের যোগ্যতা সম্পর্কে জানা যাক।
- ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্পের’ সহায়তা পেতে হলে কৃষককে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া কৃষকদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
- এই প্রকল্পের সাহায্য পাওয়া কৃষকদের আবেদন ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম আছে, আপনি আবেদন জানানোর আগে অবশ্যই সেটি জেনে নেবেন।
‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা পাঠাচ্ছে সরকার
ইতোমধ্যে জানা যাচ্ছে, যারা ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্পে’ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, জুন মাসের শেষের দিকে সেই সকল কৃষকদের একাউন্টে টাকা পাঠালে সরকার। ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে ৪০০০ থেকে ১০০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য। এর দ্বারা উপকৃত হবেন কমবেশি ৩০ লক্ষ কৃষক। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে টাকার অংক নির্ভর করে জমির পরিমাণের ওপর। এর পাশাপাশি, কৃষকরা পাবেন ২ লক্ষ টাকার জীবন বীমা। তাহলে আর দেরি কিসের, চটপট রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করুন।
‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়া
পশ্চিমবঙ্গের চাষযোগ্য জমি থাকা কৃষকেরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে হলে নিকটবর্তী সরকারি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। তবে বাড়িতে বসেও অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করা যায়। প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট জমা করে প্রকল্পের এপ্লিকেশন জমা করুন। পরবর্তীতে এই ওয়েবসাইট দিয়েই টাকা আসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।