পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে চালু হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পগুলি (WB Government Scheme) দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতে সমাদৃত হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে প্রায় কয়েক মাস অন্তর নিত্যনতুন প্রকল্পের সূচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ, দরিদ্র ও দুঃস্থ অঞ্চলের মানুষদের জন্য সরকারের প্রকল্প হলো (WB Government Scheme) আশীর্বাদের মত।
বর্তমানে প্রচুর মানুষ সরকারি সাহায্য পান। সবার জন্যই দুই হাত খোলা রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। (WB Government Scheme) ভোটের আগেও বেশ কিছু প্রকল্পের টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়। আর ভোট মিটতে বার্ধক্য ভাতা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার (Government Scheme)। কি সিদ্ধান্ত হল? নতুন সিদ্ধান্তে কতটা উপকৃত হবেন আমজনতা? চলুন আজকের প্রতিবেদন থেকে এই বিষয়ে সবটা জানা যাক।
WB Government Scheme Update 2024
বিগত কয়েক বছরের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের (WB Government Scheme) মাধ্যমে জনকল্যাণ সাধন করেছে। কিছু প্রকল্প নতুন করে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেছে, আবার কিছু প্রকল্প বরাবরই ছিল, রাজ্য সরকার সেই সকল প্রকল্পের সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক সরকারি প্রকল্প ক্রমাগত জনসাধারণের সাহায্য করে চলেছে।
আর এই প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যধন্য করছে সাধারণ মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, মেধাশ্রী, যুবশ্রী, যোগ্যশ্রী, রুপশ্রী খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী ইত্যাদি প্রকল্প জনপ্রিয়তা পেয়েছে বহুগুণ। প্রত্যেকটি প্রকল্প সময়ের সাথে সাথে নিজেদের জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন রেখেছে। আর এই সকল প্রকল্পের হাত ধরে বহু মানুষ এসেছেন সমাজের আলোয়।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও সুবিধা
রাজ্য সরকার ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অর্থের পরিমাণ বাড়ায়। বাংলার মা, বোনেরা সরকারের সিদ্ধান্তে বিশেষ খুশি হয়েছিলেন। গত দুই তিন মাস ধরে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে অতিরিক্ত টাকা পাচ্ছেন বাংলার লক্ষ্মীমন্ত মা-বোনেরা। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নাকি অতীত।
সম্প্রতি অন্য একটি প্রকল্পে দেদার সুবিধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর সেই প্রকল্প হল বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প। বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প আজ থেকে বহুদিন আগেই বাংলায় চালু ছিল। তবে সম্প্রতি বার্ধক্য ভাতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে পদক্ষেপ নিল তার জন্য সর্বত্র ধন্য ধন্য রব উঠেছে।
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প কী?
পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ নাগরিকেরা সরকারের কাছ থেকে যে ভাতা সাহায্য পান তাই ‘বার্ধক্য ভাতা’ নামে পরিচিত। বয়সকালে রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকদের জীবন যাতে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে, সবাই যাতে ভালোভাবে জীবন ধারণ করতে পারেন তার জন্য একটা নির্দিষ্ট বয়সের সীমা পার হলেই মেলে ‘বার্ধক্য ভাতার’ সাহায্য। বিশেষ করে ৬০ বছর বয়স অতিক্রম করলে ব্যক্তির কাজ করার ক্ষমতা কমে আসতে থাকে।
তখন সরকার আর্থিক সাহায্য করে। যাতে বয়স্ক মানুষদের খাওয়া, পরার চিন্তা না থাকে। সমাজের বিশেষভাবে সক্ষম প্রবীণরা ৬০ বছরের আগেই ৫৫ বছর বয়স হলেই বার্ধক্য ভাতার সাহায্য পান। এই প্রকল্পে সমাজের মহিলা ও পুরুষ প্রবীণ নাগরিক উভয়ই আবেদন করতে পারেন। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংশ্লিষ্ট প্রকল্প নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল।
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে সরকারের পদক্ষেপ
সম্প্রতি রাজ্য সরকার বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল। সূত্রের খবর, যে সকল রাজ্যবাসী ইতোমধ্যে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে সুবিধা ভোগ করছেন, শুধুমাত্র তাঁরা নয় তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে আরও ৫০০০০ জন সুবিধাভোগী। অর্থাৎ বলা যায়, বাংলায় বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করছে রাজ্য সরকার। সরকারি পোর্টালের শুরু হয়ে গিয়েছে উপভোক্তাদের নাম তোলার কাজ।
যারা এখনো বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের সাহায্য পাননি, তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে সাহায্যের আওতায়। আর কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যক্তিদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে টাকা। রাজ্য সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে মুখে হাসি ফুটেছে প্রবীর নাগরিকদের। তাঁদের কথা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে আস্থা খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।
সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান বলছে, বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের জন্য সরকারের ভান্ডার থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে। তাই এবার সরকার চাইছে, কেন্দ্রের থেকে দেওয়া অর্থ ব্যবহার করতে। প্রধানত, বঙ্গ সমাজে ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে থাকা বার্ধক্য ভাতা গ্রাহকদের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর বাকি টাকা দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তাই সবদিক বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের মানুষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে তোলা হচ্ছে সুবিধাভোগীদের নাম।