Primary TET – টেট পরীক্ষার আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা। শুনলেই হতাশ হবেন হবু শিক্ষকেরা।

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে Primary TET শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা। এবার নতুন চমক। নিয়োগের ক্ষেত্রে আবার নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) এই রায় বদলে দেবে ৪ হাজার পরীক্ষার্থীর জীবন! জেনে নিন বিস্তারিত। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল ১৮ মাসের ডি এল এড কোর্সের প্রশিক্ষণরতরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

Primary TET নিয়ে কি শুনানি হতে পারে?

ফলে প্রায় ৪ হাজার পরীক্ষার্থী এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ -কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সংশয়ে পড়েছেন প্রচুর শিক্ষার্থী। তাঁদের প্রশ্ন ১৮ মাসের ডি এল এড প্রশিক্ষনে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা যদি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ না নিতে পারেন তাহলে এই প্রশিক্ষণ নিয়ে লাভ কী? আর তাঁদের ভবিষ্যতই বা কী?

যেখানে এত প্রশিক্ষণরতরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন, তাঁর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ১৮ মাসের ডি এল এড কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষক (Primary TET) নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। আর এই নির্দেশ মেনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ-কে‌ পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপনার কি এটিএম কার্ড আছে? থাকলেই একদম বিনামূল্যে পাবেন 5 লাখ টাকার সুবিধা!

ইতিমধ্যে Primary TET মামলার আগামী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ৪ ঠা জানুয়ারি অর্থাৎ শুনানির দিনই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ-কে নিজেদের সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে জানাতে হবে আদালতকে। আপনাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিই, বহু শিক্ষক কোনরকম প্রশিক্ষণ না নিয়ে বেশ কিছু স্কুলে চাকরি করছেন। এই নিয়েই মামলা শুরু হয়েছিল।

২০১৭ সাল নাগাদ চাকরিরতদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছিল। এটি ছিল ‘ওপেন অ্যান্ড ডিস্টেন্স লার্নিং কোর্স’। এই কোর্সটি শুরু হয়েছিল ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’-এর মাধ্যমে। এই কোর্সটি সম্পূর্ণভাবে চাকরিরতদের জন্য। অর্থাৎ যাঁরা ইতিমধ্যে চাকরি করছেন কেবলমাত্র তাঁদের জন্য।

কিন্তু এই প্রশিক্ষণের অংশ হয়েছেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা ১৮ মাসের ডি এল এড কোর্স করেন। এই কোর্স করার পরেই তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET Recruitment) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন করেন। ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বহু চাকরিপ্রার্থী এমন ছিলেন। এর পরপরই উত্তরাখণ্ডের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নতুন রায় দেয়।

ফ্রি রেশন নিয়ে মোদীর বড় ঘোষণা। জানুয়ারী থেকে রেশনে আরও নতুন নতুন জিনিস পাবেন।

২৮ শে নভেম্বর সুপ্রিমকোর্ট জানিয়ে দেয় ১৮ মাসের ডি এল এড কোর্সে ভর্তি হওয়া প্রার্থীরা নতুন করে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই নির্দেশ মেনেই পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ-কে আগামী পদক্ষেপ নিতে বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ৪ ঠা জানুয়ারিতে আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Scroll to Top