NSC vs KVP – কোন স্কিমে বিনিয়োগ করলে বেশি সুদ পাবেন? দেখে বিনিয়োগ করুন।

বিনিয়োগের জন্য বহু বিনিয়োগকারী এমন একটি মাধ্যম খোঁজেন, যেটি হবে নিরাপদ, ঝুঁকিহীন ও সুরক্ষিত। সেই সঙ্গে রিটার্নও আসবে ভালো। NSC vs KVP কোনটা বেছে নেবেন টা নিয়ে সমস্যায় পরেন অনেকে তবে নিজেদের পছন্দ এবং ক্ষমতা অনুযায়ী এই বিনিয়োগকারীরা বেছে নিতে পারেন কিষাণ বিকাশ পত্র বা কেভিপি স্কিম এবং ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা এনএসসি। অত্যন্ত নিরাপদ এই দু’টি স্কিমই। মূলত এই দুই স্কিম বানানো হয়েছে গ্রামীণ অঞ্চল কিংবা মফস্বল এলাকার মানুষ এবং মধ্য ও নিম্ন আয়গোষ্ঠীর মানুষের কথা মাথায় রেখেই। তবে বিনিয়োগকারীরা এই দুই স্কিমের মধ্যে কোনটি বাছবেন, অনেক সময় সেটা বুঝে উঠতে পারেন না।

NSC vs KVP? Know which scheme will bring you more profit!

আসলে সাদৃশ্যই বোধহয় বেশি দুই স্কিমের মধ্যে। NSC vs KVP কোনটা ভাল? কিন্তু দুটি স্কিম একে অপরের তুলনায় আলাদা কিছু কিছু ক্ষেত্রে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক বিশদে, কেভিপি এবং এনএসসি-র সমস্ত তথ্য। একটি নিরাপদ এবং ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের স্কিম কিষাণ বিকাশ পত্র। এটি চালিত হয়ে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় ডাক বিভাগের দ্বারা। ভারত সরকার এই স্কিমের মাধ্যমে যে টাকা তোলা হয়, সেই টাকা কৃষকদের উন্নয়ন এবং কল্যাণমূলক কাজে লাগায়।

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, কেভিপি স্কিম দেশের কৃষিকাজে উন্নয়নের অন্যতম মূল চাবিকাঠি। সাধারণত কিষাণ বিকাশ পত্র স্কিমটি তৈরি করা হয়েছিল নিম্ন এবং মধ্য আয় গোষ্ঠী এবং প্রধানত গ্রামাঞ্চল ও মফস্বল এলাকার মানুষদের কথা ভেবে।কেন্দ্রীয় সরকার নিঃসন্দেহেই গ্রাহকদের ভালো হারে সুদ প্রদান করার বিষয়টা নিশ্চিত করে। তবে মুদ্রাস্ফীতিকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি এই সুদের হার। তিন ভাগে ভাগ করা যায় কেভিপি অ্যাকাউন্টকে।

যথা – সিঙ্গল হোল্ডার টাইপ, জয়েন্ট টাইপ- এ এবং জয়েন্ট টাইপ-বি। শুধুমাত্র তিনিই বিনিয়োগ করতে পারবেন যে ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে। তবে অংশীদার ফার্ম অথবা দেশি কিংবা বিদেশি কোম্পানি, নন-রেসিডেন্ট বিনিয়োগকারী কিন্তু বিনিয়োগ করতে পারবে না কিষাণ বিকাশ পত্রে। (NSC vs KVP)

PM Kisan Yojana (পি এম কিষাণ যোজনা)

মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী NSC vs KVP এর?

1. মেয়াদ ফুরোনোর আগে নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতেই কেভিপি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা সম্ভব। একজন কিংবা সমস্ত অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু, আদালতের নির্দেশ প্রভৃতি পরিস্থিতিতেই বন্ধ করা যেতে পারে কেভিপি অ্যাকাউন্ট। টাকা জমা করার ২ বছর ৬ মাস পরেও টাকা তুলে নিতে পারেন গ্রাহক। (NSC vs KVP)

2. একজন স্থায়ী বসবাসকারী নিজে একা কিংবা অন্য কারওর সঙ্গে যৌথ ভাবে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের নামে অভিভাবকরাও খুলতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট। এমনকী শিশুর বয়স ১০ বছর হয়ে গেলে সে তার নিজের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এ-ছাড়া মানসিক ভারসাম্যহীন কোনও গ্রাহকের নামেও তাঁর হয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে।
3. ১২৪ মাস বা ১০ বছর ৪ মাসে এই বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

কিভাবে FD তে টাকা ইনভেস্ট করলে মিলবে বেশি সুদ! জেনে নিন বিস্তারিত।

অপরদিকে, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট হল এমন একটি স্কিম, যা ছোট সেভিংস-কে সুসংহত করতে সাহায্য করে। এই স্কিমটি আসলে National Savings Certificate (VIII Issue) স্কিম, ২০১৯ নামে পরিচিত। ভারত সরকার এই স্কিমটিকে চালনা করে থাকে ভারতীয় ডাক বিভাগের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি দ্বারা ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বরের কভার করা হয়েছে এনএসসি-কে।

এটি চালিত হয় ১৮৭৩-এর সরকারি সেভিংস প্রোমোশন অ্যাক্ট-এর অধীনে। ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ হল ১০০ টাকা। এখানে মেয়াদপূর্তির সময় আসলের অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের সময় সুদের হার সংগ্রহ করা হয়। কেউ যৌথ হোল্ডিংয়ের জন্য কোনও ভাতা ছাড়াই একক নামে এনএসসি স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন।

NSC vs KVP এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

1. ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিমের লক-ইন পিরিয়ড হয় ৫ বছর। অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির তারিখের আগে এই স্কিম থেকে টাকা তোলা যাবে না। তবে কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্তির আগেই বিনিয়োগের টাকা তোলা সম্ভব। যদি অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয়, সে-ক্ষেত্রে মেয়াদ ফুরোনোর আগেই তোলা যাবে টাকা। এ-ছাড়া আদালতের আদেশেও টাকা তুলে নেওয়া যায়।

অল্প সময়েই টাকা ডবল! পোস্ট অফিসের এই দুর্দান্ত স্কিম সাড়া ফেলেছে সারা দেশে।

2. প্রতি ত্রৈমাসিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে ভারত সরকার সুদের হার নিয়ন্ত্রণ এবং ঘোষণা করে।
3. এক জন স্থায়ী বাসিন্দা অন্য বিনিয়োগকারীর সঙ্গে যৌথ ভাবে মোট ৩টি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক কারওর নামেও খোলা যায় অ্যাকাউন্ট। কিংবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের নামে অভিভাবকরাও খুলতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট।

Leave a Comment