Swasthya Sathi Scheme – স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে এইবার থেকে পাবেন এই বাড়তি সুবিধা, দেখে নিন কোন গুলি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য একটি জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের নাম ‘স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প’ (Swasthya Sathi Scheme). এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে যে কোনো রোগের চিকিৎসা করাতে পারেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। এই কার্ড দেখিয়ে সমস্ত সরকারি এবং কিছু কিছু বেসরকারি নার্সিংহোমে বিনামূল্যে চিকিৎসা করানোর সুবিধা পান সাধারণ মানুষ।

Swasthya Sathi Scheme

তবে এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্থির হয়েছে, এবারে থেকে পঞ্চায়েত স্তরের সকল কর্মীদের Swasthya Sathi Scheme এর আওতায় আনা হবে। এতদিন রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত কর্মীরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তবে রাজ্য সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাবেন পঞ্চায়েত কর্মীরা।

বেকারদের ছেলে-মেয়েদের কাজ দিচ্ছে রাজ্য সরকার! কীভাবে আবেদন করবেন? জেনে নিন।

এর ফলে চিকিৎসার জন্য তাদেরও বেশি সুবিধা হবে। গতকাল রাজ্য মন্ত্রী সভার বৈঠক ছিল। উক্ত বৈঠকে চা সুন্দরী প্রকল্প সহ একাধিক প্রকল্প নিয়ে কথা হয়। এই ক্যাবিনেট বৈঠকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রী সভার বৈঠকে ঠিক হয়, এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Scheme) অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ছয় মাস আগে এই সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে গতকাল মন্ত্রী সভার বৈঠকে তা চূড়ান্ত শীলমোহর পড়লো। উল্লেখ্য, এর আগেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে একাধিক বার নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আনা হয়।

জনগনের সুবিধার্থে MyScheme Portal চালু করলো সরকার। কোন সরকারী প্রকল্পটি আপনার জন্য এক ক্লিকেই জানা যাবে।

স্বাস্থ্য দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল, সরকারি হাসপাতাল ছাড়া কোনো বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। তবে দুর্ঘটনা জনিত কারণে কিংবা সরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকলে তখন বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যেতে পারে। এতদিন এই নিয়ম পরীক্ষামূলক ভাবে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় চালু ছিল। এবারে গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ম প্রযোজ্য হতে চলেছে।